নির্বাচনে ভিক্ষুককে জড়িয়ে ধরতেন: এখন জনগণের পাশে নেই তিন ধনকুবের!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(রূপগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া। চূড়ান্তভাবে দলের মনোনয়ন পান কাজী মনিরুজ্জামান। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি দলের মনোনয়নে নির্বাচন করেন। যদিও ২০০৬ সালে নির্বাচনী প্রস্তুতি প্রথমে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। ১/১১ এর সময় দুর্নীতির দায়ে কারাগারে চলে যান। ২০১৪ সাল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নামেন দিপু ভূঁইয়া। গত নির্বাচনের আগে চায়ের দোকানে চা পান করেছিলেন দিপু ভুঁইয়া ও তৈমূর আলম। ভিক্ষুকদের জড়িয়ে ধরতেন। এখন তারা কোথায়?

জানাগেছে, এক সময়ে দেশের বৃহত্তর ধনী গুলবক্স ভূঁইয়ার নাতি দিপু ভূঁইয়া অঢেল সম্পদের মালিক হলেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের যখন ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ তখন তাদের পাশে সামান্য সাহায্য নিয়েও দাড়াচ্ছেন না। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হলেও তার নীরবতায় রূপগঞ্জের অসহায় দিনমজুর মানুষ চরম হতাশ। নির্বাচন আসলেই চায়ের দোকানে বসে গরীব মিসকিনদের সঙ্গে চা পান করেন। কত কত নাটক দেখা যায়। কিন্তু এমন মহামারিতে অভুক্ত মানুষের পাশে তার দেখা নেই।

একই অবস্থা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের। তিনি শুধু রূপগঞ্জ নয় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকেও গত ২০১৪ সালে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। শহর ও রূপগঞ্জের রাজনীতিতে যার আভির্ভাব দেখা যায়। নিজেকে সাধারণ মানুষের নেতা দাবি করেন। বিএনপির ক্ষমতার সময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এপিলেট ডিভিশনের একজন আইনজীবী। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জে রয়েছে তার বিশাল সম্পত্তি। কিন্তু এমন মহামারিতে সামান্য সাহায্য নিয়ে জনগণের পাশে দাড়াতে তাকে দেখা যাচ্ছেনা। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচনও করেছিলেন। যদিও তিনি সব সময় এক টাকা দিয়েও কাউকে সহযোগীতা করেন না। এটা তার চিরাচরিত চরিত্র। বড় বড় হাউজিং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গিয়ে আন্দোলন করেন তিনি। যা বিষয়টি রহস্যজনক সব সময়। কারন সকল শ্রেণির বিপক্ষে তিনি আন্দোলন করেন না। তিনি শুধু হাউজিং প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। আবার পরক্ষণে চুপসে যান।

কাজী মনিরুজ্জামান মনির একজন শিল্পপতি। দেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজেএমইএ এর সাবেক সভাপতি। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সেক্রেটারি তিনি। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের সময় দিনমজুর খেটে ধাওয়া অসহায় মানুষ যখন অভুক্ত তখন তাদের পাশে সামান্য সাহায্য নিয়েও পাশে নেই তিনি। অথচ তিনিও এমপি হতে চান। একাধিকবার দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। নির্বাচনের আগে তাকে সরব দেখা গেলেও তারপর আর দেখা যায়নি। তেমনি অবস্থা এখন। স্থানীয়দের মাঝে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে তারা কি আসলেই জনগণের সেবক হতে চান নাকি এমপি হয়ে জনগণের সম্পদ লুটপাট করে নিজেদের আখের গুছাতে চান?