লকডাউন করা এলাকায় কেউ প্রবেশ কিংবা বের হতে পারবেনা: এসপি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডে এক নারীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বন্দরের নবীগঞ্জ রসূলবাগ এলাকার একটি রাস্তা (জিএ রোড) লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর পুলিশের তৎপরতা প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেছেন, আইইডিসিআরের রিপোর্ট পাওয়ার পর জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন এবং সেখানকার ওসির সম্মিলিতভাবে নেয়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সেখানে ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতেই লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয় এবং সেই গলির রাস্তার মুখটা সিল করে দেওয়া হয়। সেখানে পুলিশ ২৪ ঘন্টা ডিউটি করছে।

তিনি জানান, ওই রাস্তার ভেতর ১০০ পরিবারের যারা আটকা পড়েছেন সেখানে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী এবং জেলা প্রশাসনের লোকজন শুধুমাত্র যাবে। সেখানকার কেউ অসুস্থ হলে তারা তাদেরকে চিকিৎসা দিবে এবং খাবার সরবরাহ করবে। সেই গলির রাস্তার মুখ দিয়ে কারো ভেতরে ঢোকার কিংবা বের হবার সুযোগ নেই। আমরা সেটি নিশ্চিত করব। যারা ঘরের বাইরে থাকবেন, তারা সকলেই সর্তকতা অবলম্বন করবেন। লকডাউন করা এলাকায় কেউ প্রবেশ কিংবা বের হতে পারবেনা।

৩ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকায় জেলা পুলিশের সদস্যদের নিয়ে টহল শেষে চাষাঢ়া বিজয়স্তম্ভের সামনে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসপি এসব তথ্য জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি হাবিবুর রহমান সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

এর আগে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৯ তারিখে ৫০ বছর বয়স্ক করোনায় মারা যাওয়া ওই মহিলা প্রথমে অসুস্থ হন। যদিও এরআগে তিনি দুইবার স্ট্রোক করেন। অসুস্থ হওয়ার পর ওই মহিলাকে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাকে কুর্মিটোলায় যেতে বললেও তিনি না গিয়ে বন্দরের বাড়িতে চলে আসেন।

পরবর্তিতে তিনি আবারো অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর পরে আইইডিসিআর সন্দেহ করে সেই ভদ্রমহিলার করোনায় মৃত্যু হয়েছে কিনা! এবং সেখান থেকেই ওই নারীর স্যাম্পল কালেকশন করা হয়। কিন্তু যখন তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় তখন তাকে নরমাল ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে তাকে রসুলবাগ নিয়ে এসে স্বাভাবিকভাবেই দাফন করা হয়েছিল।

২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আইইডিসিআর থেকে আমাদের জানানো হলো যে, ভদ্রমহিলা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এবং আইইডিসিআরের নেয়া স্যাম্পল পজেটিভ এসেছে। সাথে সাথে আমাদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং বন্দর ইউএনও আইইডিসিআরের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে সেই এলাকা পরিদর্শন করেন এবং তারা সিদ্ধান্ত নেন ওই এলাকার একটি গলির একশ বাড়ি পুরোটাই লকডাউন ঘোষণা করা হবে। এর আগে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে শহর ও এর আশেপাশের নানা সড়কে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়।