পুরো সোনারগাঁয়ে লকডাউন চাইলেন এমপি খোকা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

করোনা সংক্রামন ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আগেই পুরো সোনারগাঁওকে লকডাউনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ৫ এপ্রিল রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজ দিয়ে এ দাবী জানান।

তিনি লিখেছেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিগত ১৮মার্চ থেকেই আমি সোনারগাঁওয়ের প্রতিটি এলাকা সকাল থেকে রাত প্রায় ২টা অবধি চষে বেড়িয়েছি। সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ, বার বার মাইকিং সহ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করার পরেও দেখতে পাচ্ছি অনেকে বাইরে বের হন। সোনারগাঁওয়ের জনপ্রতিনিধি, সোনারগাঁওয়ে নিয়োজিত সেনা বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিক সহ সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিভিন্ন উপায়ে মানুষদেরকে বুঝানোর পরও অনেক এলাকাতে এখনো লোকজন জড়ো হয়।

এছাড়াও বর্তমাণে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী খোলা নিয়ে সোনারগাঁওয়ে অসংখ্য নতুন মানুষের আগমণে আমরা সোনারগাঁওবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। সোনারগাঁওয়ে ক্রমশ করোনা ছড়িয়ে পড়ার আগেই এটাকে রোধ করার লক্ষ্যে যতদ্রুত সম্ভব পুরো সোনারগাঁওকে লকডাউনের আওতায় আনার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।

সেই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে আহবান করবো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সেনারাগাঁওয়ের মানুষকে বাঁচাতে হলে পুরো সোনারগাঁওকে লকডাউনের আওতায় আনতে হবে। ‘লকডাউন’ মানে ‘লকডাউন’। এর কোন ব্যতয় ঘটতে দেওয়া যাতে না হয়। কাউকে যেন ঘর থেকে বের হতে না দেওয়া হয়। আমি সোনারগাঁওয়ে “করোনা সেন্ট্রাল মনিটরিং সেল” এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করেছি। এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির শতশত নেতাকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়োজিতরা সক্রিয় আছেন। যে কেউ ফোন করলে আমরা তাদের বাড়িতে খাবার পৌছে দিব। এ সময়ে আমাদের কঠোর হওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই। তাই অনতিবিলম্বে প্রশাসনকে বলবো কোনদিক না তাঁকিয়ে আপনারা কঠোর হোন। এখন বড় বিষয় পুরো সোনারগাঁওকে রক্ষা করা। এজন্য যত কঠোর প্রয়োজন আপনারা হোন। আমরা আপনাদের পাশে আছি।’