সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমানের অনুরোধে অবশেষে ঠান্ডা জ¦র কাশিতে আক্রান্ত রোগীর নমুনা সংগ্রহে নেমেছে নারায়ণগঞ্জের ৪টি প্রতিষ্ঠান। করোনার এই ভয়াবহতায় জরুরিভিত্তিতে অসুস্থ্য রোগীদের নমুনা সংগ্রহের জন্য এগিয়ে এসেছে নারায়ণগঞ্জের বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতি। তারা নিজস্ব লোকবল দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএমএ এর সাবেক সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের এই দুর্যোগময় মুহুর্তে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ যার যার সাধ্যমত সহযোগিতা করা এবং আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে যতটুকু পারি আমরা সহযোগিতা করবো।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমি নারায়ণগঞ্জের পপুলার, মেডিনোভা, ল্যাবএইড ও মর্ডান ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি এই ৪টি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বাকী আরোও অনেকেই সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের আহ্বানে এগিয়ে আসবে।
তিনি আরো বলেন, এমপি শামীম ওমান আমাদের জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ও সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য লোকবল কম। তাই তার অনুরোধে আমরা বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছি এবং তিনি আমাদের সকল প্রকার সহযোগীতারও আশ্বাস দিয়েছেন। আমি এবং মেডিস্টারের মালিক মোফাজ্জল হোসেন মিন্টু এ বিষয়ে কাজ করছি। আমরা সংসদ সদস্যকে টেকনিশিয়ান সহ সব ধরলের লজিস্টক সাপোর্ট দিবো।
এ ব্যাপারে শামীম ওসমান জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জে এখন যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে এমন অবস্থায় ঢাকায় গিয়ে করোনার টেস্ট বা নমুনা স্যাম্পল পাঠিয়ে অপেক্ষা করার সময় না। স্যাম্পল কালেকশন করে রিপোর্ট পেতে পেতে রোগী মারা যাচ্ছেন। তাছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করলেও পরীক্ষার অভাবে তা সনাক্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। মৃত্যুর পরে পরীক্ষা করে করোনা সনাক্তের কারণে নারায়ণগঞ্জে এর প্রাদুর্ভাব প্রবলভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি গণমাধ্যমে দেখছি, যাদের এই সময়ে সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশী দ্বায়িত্ব পালন করার কথা, জনগণ যাদের কাছে এই সেবা পাওয়ার শত ভাগ অধিকার রাখে, সেই নারায়ণগঞ্জ সিকির্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগই এখন রুগ্ন।
‘প্রতিদিন আমার নির্বাচনী এলাকা সহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বহু ফোন পাচ্ছি তারা নিজেদের নমুনা সংগ্রহ করাতে ফোন করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। অনেকে চিৎকার করে কাঁদছেন, তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। কারণ নমুনা সংগ্রহ করার কাজ আমার জানা নেই। আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। নারায়ণগঞ্জে অতিসত্বর করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের দাবী জানিয়েছি। প্রয়োজনে আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। কারণ নারায়ণগঞ্জের প্রতি তিনি যথেষ্ট কনসার্ন।
শামীম ওসমান আরো বলেন, ইতিমধ্যেই আমি নারায়ণগঞ্জের সেরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের আমি এ্যাম্বুলেন্সসহ কয়েটি টিম করার অনুরোধ করেছি, যেন নারায়ণগঞ্জে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ তারা আমার আহবানে সাড়া দিয়েছেন। আমি তাদের বলেছি প্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্স সহ সকল আনুষাঙ্গিক খরচ আমি ব্যক্তিগতভাবে বহন করবো। কিন্তু এই ক্রান্তিলগ্নে আপনারা নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে থাকুন।