সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ফাঁসি কার্যকরের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদের লাশ নিজ এলাকা ভোলায় না নিয়ে দাফন করা হয় নারায়ণঞ্জের সোনারগাঁয়ে। উপজেলার শম্ভুপুরায় তার শ্বশুরবাড়িতে দাফন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সেখানকার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা খুনি মাজেদের লাশ সোনারগাঁয়ের মাটিতে রাখতে দেয়া হবে না এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন, অবিলম্বে এই লাশ সোনারগাঁ থেকে অপসারণ করে সোনারগাঁকে কলঙ্ক মুক্ত করতে হবে।
১২ এপ্রিল রবিবার এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির এমপি খোকা বলেন, খুনি মাজেদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার মাধ্যমে সমগ্র বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করেছে । জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় সরাসরি অংশগ্রহণের দায়ে ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তার লাশ সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের সাতগ্রাম কবরস্থানে চুপিসারে দাফন করায় সোনারগাঁবাসী কলঙ্কিত হয়েছে। তার লাশ সোনারগাঁয়ের পবিত্র মাটিতে রাখতে দেয়া হবে না।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ঈশা খাঁর রাজধানী প্রাচীন বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নানা বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ সোনারগাঁয়ে সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ্, ঐতিহাসিক পাঁচ পীরের দরগাহ্, সুলতান দানেশ মান্দ, উপমহাদেশের প্রথম ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শেখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা রহ.সহ অসংখ্য পীর আউলিয়ারা শায়িত আছেন। শুধু দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার বাড়ির সূত্রে জাতির জনকের আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদের কলঙ্কিত লাশ সোনারগাঁয়ে দাফন করায় সোনারগাঁ উপজেলা মহাজোট ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দসহ সমগ্র সোনারগাঁবাসী কলঙ্কিত হয়েছে। প্রয়োজনে খুনি মাজেদের লাশ কবর থেকে অপসারণ করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে সোনারগাঁকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে।
খোকা বলেন, খুনি মাজেদের জন্মস্থান ভোলার বোরহানউদ্দিন এলাকায়, তাই তার লাশ সেখানে দাফন হওয়ার কথা। সোনারগাঁয়ের কেউ এর সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।