সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ শহর ছেড়ে সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মসলন্দপুর গ্রামে গিয়ে মাদকসেবীদের নিয়ে আড্ডা দেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় আবুল কাশেম ঘরের ভেতরে ১৪ দিন থাকার অনুরোধ করায় উল্টো তাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ শহর ছেড়ে যাওয়া নাসির উদ্দীন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মাঝে দুুইদিন ব্যাপী কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মসলন্দপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরর্তীতে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নাসির উদ্দীনের মাদকসেবীদের নিয়ে আড্ডাখানায় হামলা চালায়। ১৫ এপ্রিল বুধবার সকাল ওই হামলাকারীদের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায় আহত আবুল কাশেমের আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করেন নাসির উদ্দীন। গত ১৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ শহর ছেড়ে সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মসলন্দপুর নিজ গ্রামে যান নাসির উদ্দীন। গ্রামে গিয়ে স্থানীয় বিতর্কিত মাদকাসক্তদের নিয়ে শান্তিময় আশ্রমে মাদক সেবনে আড্ডা জমায়। নাসির উদ্দীনের এমন কর্মকান্ডে বারণ করে তাকে ১৪ দিন ঘরের ভেতরে থাকতে বলেন স্থানীয় আবুল কাশেম। এতে নাসির উদ্দীন ক্ষিপ্ত হয়ে মাদকসেবীদের নিয়ে আবুল কাশেমের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
আহত আবুল কাশেমের দাবি- নাসির উদ্দীন বিভিন্ন গ্রামের গাজাখোরদের নিয়ে আশ্রমের ভেতরে আড্ডা জমায়। সে ১৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছে। তাকে ১৪ দিন ঘরের ভেতরে থাকতে বলায় এলাকার চিহ্নিত ডাকাত হানিফা, ইয়াসিন ও সোহেল মিয়া পেছন থেকে মাথায় আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত হোন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে আবুল কাশেমকে উদ্ধার করেন।
এই ঘটনা শেষে রাত ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে তাকে হুমকি ধমকি দেয়া হয়। এ নিয়ে থানা পুলিশ করলে তাকে জানে মেরে ফেলা হবে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাসির উদ্দীন আবুল কাশেমের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন। আবুল কাশেম করোনার অজুহাত তুলে অহেতুক পূর্বশত্রুতাবশত তার উপর আক্রোশ মেটাতে চেয়েছিলেন। আবুল কাশেমই লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।