সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরের ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি। এখন এই হাসপাতালটিই করোনা আক্রান্ত হওয়ার হটস্পট হয়ে উঠেছে।
১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায় ছাড়াও চিকিৎসক কর্মকর্তা কর্মচারী ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যার পরীক্ষায় ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সব মিলিয়ে এই পর্যন্ত ৪ ডাক্তার, ৪ নার্স, অফিস স্টাফ, ওয়ার্ড বয়, অফিস সহকারী সহ মোট ১৭জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নতুন আরও করে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাদের রেজাল্ট আসলে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।
১৫ এপ্রিল বুধবার বিকেলে খানপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সামসুদ্দোহা সঞ্চয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নতুন আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে সকলের বাসা নারায়ণগঞ্জ, সুপার গৌতম রায় থাকেন তার বাসভবনে। আমরা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেছি, সিদ্ধান্ত নিয়েছি আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে যাদের সমস্যা কম অর্থাৎ উপসর্গ নাই, তবে পজিটিভ তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাসায় হোম আইসোলেশনে পাঠিয়ে দিব। খানপুর হাসপাতালটিই করোনা রোগীদের জন্য এখানে তিনজনকে ভর্তি করানো হয়েছে। আক্রান্ত প্রত্যেকেই করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবায় একসাথে কাজ করেছিলেন।
সঞ্চয় আরও বলেন, খানপুর হাসপাতালের যত স্টাফ আছে সবাইকে টেস্ট করাতে হবে আর তা যদি একদিনে পারা যায় সেটিই করতে হবে। আমরা আশংকা করছি যাদের টেস্ট করানো যায়নি তাদের থেকেও অনেকের করোনা পজিটিভ আসবে। খানপুর হাসপাতালটিই করোনার একটি বিশাল সেন্টার হয়ে গেছে। মঙ্গলবার ২১ জনের টেস্টে ১৩ জন পজিটিভ এসেছেন, আজ (বুধবার) টেস্ট করিয়েছি ১৫ জনের। আগামীকাল সবার করোনার টেস্ট করানো হবে। যাদের করোনা নেগেটিভ আসবে তাদের দিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম চালাতে হবে। এমন একটি অবস্থা দাঁড়িয়েছে খানপুর হাসপাতালে যে কেউ কথা বলতে আসবে, যার সাথেই কথা বলবে সে করোনা পজিটিভ কি নেগেটিভ এটা বোঝা দায়! নরমাল রোগের চিকিৎসা নিতে খানপুরে গেলেও যে কেউ আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে, শুধুমাত্র খানপুর হাসপাতালে যাওয়ার কারণে। আসলে এখন খানপুর হাসপাতালটাকেই লকডাউন করা উচিৎ। এটি আমি সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি। আগে পুরো হাসপাতাল লকডাউন করে সকলের করোনা টেস্ট করিয়ে হাসপাতাল জীবানুমুক্ত করা প্রয়োজন। নতুবা এখান থেকে বাইরেও ট্রান্সমিশন হবে।