সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ডা. এজাজুল ইসলাম। পেশায় তিনি একজন নামকরা চিকিৎসক আবার অভিনেতা। তবে দেশব্যাপী তিনি অভিনেতা হিসেবেই বেশি পরিচিত। প্রয়াত কথা সাহিত্যিক এবং নাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বহু নাটক ও একাধিক সিনেমায় অভিনয় করে তিনি দেশব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর বর্তমানে তিনি অভিনয়ে অনেকটাই অনিয়মিত।
দেশের নানা হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত থাকা এজাজুল ইসলাম সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তিনি অবসরে রয়েছেন। কিন্তু তার সেবার দ্বার এখনও খোলা। তাইতো সাম্প্রতিক করোভাইরাস মহামারী বিষয়ে সর্বসাধারণকে দিয়েছেন জরুরি পরামর্শ।
ডা. এজাজ বলেন, ‘করোনার প্রধান লক্ষণগুলো অনেকেই বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে দেখেছেন। সেসব লক্ষণ দেখা দিলেই পরীক্ষা করান। যেসব জায়গায় করোনার পরীক্ষা হচ্ছে, সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যত বেশি পরীক্ষা হবে তত বেশি মঙ্গল। এখন তো পরীক্ষা করা সহজ হয়ে গেছে। জেলা পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাই লক্ষণ দেখলেই পরীক্ষা করান।’
হতাশার সুরে এই অভিনেতা ও চিকিৎসক বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের দেশের যা অবস্থা, তাতে করে সতর্ক না হয়ে কোনো উপায় নেই। আমরা কেন যে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে পারি না! নিজের চোখে বিপদ না দেখলে আমরা সতর্ক হতে চাই না। এখন দেশের যে অবস্থা, তাতে সতর্ক না হলে আমরা ভয়াবহ খারাপ অবস্থার দিকে যাবো। তখন কিছুই করার থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই পালিয়ে বাঁচতে চাচ্ছি। আমরা আমেরিকা, ইতালি, ফ্রান্স, লন্ডন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে বাঁচতে চাচ্ছি। নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা থেকে পালিয়ে গ্রামে গিয়ে বাঁচতে চাচ্ছি। কিন্তু এটা আসলে বাঁচা নয়। আপনি নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আপনার কারণে আশেপাশের মানুষেরাও মৃত্যুর দিকে চলে আসছে। তাই সতর্ক হোন এবং নিজের জায়গা থেকে বাঁচুন।’
প্রসঙ্গত, ডা. এজাজুল ইসলাম ১৯৮৪ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপর পিজি ( বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ডিএনএম (পোস্ট গ্রাজুয়েশন-ডিপ্লোমা ইন নিউক্লিয়ার মেডিসিন) সম্পন্ন করেন। জীবনে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন অনেক জায়গায়। তিনি অভিনেতা হিসেবে যেমন সফল, তেমনই সফল চিকিৎসক হিসেবেও।