সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
রাজধানীর ঢাকার আশুলিয়ায় শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টির লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উস্কানিমুলক প্রচারের দায়ে একটি ভুয়া সংগঠনের কথিত চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ১৯ এপ্রিল রবিবার বিকেলে র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর এক বিশেষ অভিযানে গত ১৮ এপ্রিল শনিবার বিকেলে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল এলাকা হতে ফেসবুকে গুজব রটিয়ে প্রমিকদের উস্কানির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা সহ দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার চক্রান্তের অভিযোগে মোঃ শাহীন মন্ডলক গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত ২টি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে- আসামী মোঃ শাহীন মন্ডলের বাড়ী গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানাধীন গজারিয়া এলাকায়। সে বিগত ১০ বছর পূর্বে ঢাকা শহরের আশুলিয়া এলাকায় আসে এবং ৬ বছর বিভিন্ন গার্মেন্টেসে চাকুরী করে। পরবর্তীতে সে ‘জাতীয় যুব কল্যাণ বাংলাদেশ’ নামক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপাজর্নের অসৎ উদ্দেশ্যে আশুলিয়া ও এর আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর মালিকদের বিরুদ্ধে সাধারণ শ্রমিকদেরকে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা ও উস্কানীমূলক তথ্য প্রচার করে আসছে।
উল্লেখ্য যে, উক্ত ‘জাতীয় যুব কল্যাণ বাংলাদেশ’ নামীয় সংগঠনটির কোন সরকারী রেজিষ্ট্রেশন বা অনুমোদনও ছিল না। সে অনুমোদনবিহীন একটি ভূয়া সংগঠনের চেয়ারম্যান পরিচয়ে আশুলিয়া ও আশেপাশের এলাকায় পোস্টার সহ বিভিন্নভাবে প্রচার চালিয়ে গার্মেন্টেস সমূহের উপর আদিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। যখনই মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে কোন অসন্তোষ বা বিক্ষোভ দেখা দেয় তখনই সে বিভিন্নভাবে শ্রমিকদেরকে উস্কিয়ে তুলে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ তার নিজেস্ব ফেসবুক পেজ থেকে মোবাইল সহ নানা রকমের ইলেক্ট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিতমূলক বিভিন্ন ছবি, ভিডিও ও তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারসহ উস্কানিমূলক মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে গুজব রটিয়ে শ্রমিকদের উত্তেজিত করা ও স্থিতিশীলতা নষ্টের চক্রান্ত করে আসছিল। এভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ধরণের উস্কানিমূলক মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করে সাধারণ গার্মেন্টস শ্রমিকদের উত্তেজিত ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে।