সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে দিন-রাত কাজ করছেন সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম। হাট বাজার সহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় গিয়ে মানুষের মাঝে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করে আসছেন। একই সঙ্গে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণও করেছেন। সেই সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের শনাক্তের পর সেখানে লকডাউন করছেন। স্যাম্পল সংগ্রহের কাজেও সহযোগীতা করছেন তিনি। সর্বপরি দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করছেন এই নির্বাহী কর্মকর্তা। তবুও যেনো সোনারগাঁয়ের মানুষের মাঝে সচেনতার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। যে কারনে তিনি এবার সোনারগাঁবাসীর প্রতি আকুতি মিনতি করে সকলকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছেন।
১৯ এপ্রিল রবিবার সোনারগাঁবাসীর উদ্দেশ্যে উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম করজোড়ে মিনতি করে লিখেছেন, আজ বৈদ্যেরবাজারের সাতভাইয়াপাড়ার ৪৭ বছর বয়সের এক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বৈদ্যেরবাজার এলাকায় বর্তমানে মোট আক্রান্ত দুইজন। সোনারগাঁ উপজেলায় মোট আক্রান্ত ৬ জন।
এছাড়াও শুধু আজকেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ জনের!! গভীর দুঃখের সাথে বলতেই হচ্ছে অবস্থাদৃষ্টে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে-আমরা সোনারগাঁবাসী ক্রমশ একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছি। আগামী তিন সপ্তাহ আমাদের জন্য খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টা আমরা ঘরে থাকতে না পারলে আমরা নিশ্চিতরূপেই একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছি।
দোহাই আপনাদের শুধু প্রতিদিন বাজার করার জন্য আর চায়ের দোকানে আড্ডা দেবার জন্য নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপন্ন করে তুলবেনা প্লিজ। দিন যতই যাচ্ছে ততই আপনারা আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে তুলছেন। করজোড়ে মিনতি করছি প্রশাসন আর পুলিশের সাথে আপনাদের এই লুকোচুরি বন্ধ করুন। আপনারাই বলুন প্রতি পাড়ায় পাড়ায় সার্বক্ষণিক একজন করে ম্যাজিষ্ট্রেট আর ১০ জন করে পুলিশ সদস্য কি মোতায়েন করা আদৌ সম্ভব?
বিশ্বাস করুন আপনাদের ঘরে ফেরাবার জন্য, বাজারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করবার জন্য, ডাক্তার সহ অসুস্থ ব্যক্তির স্যাম্পল কালেকশনের জন্য, অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠাবার জন্য, মৃত ব্যক্তির কবর খোঁড়ার জন্য, জানাজা দেবার জন্য, কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করবার জন্য, লক ডাউন সফল করবার জন্য, ক্ষুধার্ত মানুষের ঘরে একটু চাল ডাল পৌঁছে দেবার জন্য আমরা যে প্রতিদিন পরিবার ফেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন রাত একাকার করে ছুটে চলেছি, এ শুধু দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনের জন্য নয়। আপনাদের ভালোবাসি বলেই ঈশ্বর আমাদের দিন রাত্রি এভাবে দৌঁড়ানোর শক্তি দেন। আর কিছু না হোক অন্তত আমাদের এই ভালোবাসার মুল্যটুকু আপনারা দিন। তাহলে একটি অকল্পনীয় ভয়ংকর কিছু থেকে রক্ষা পেয়ে যাবো আমরা সবাই।
ঘরেই থাকুন..
খুব খুব খু-উ-ব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে নয় একদম।’