সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
দুঃসময় যেন পিছু ছাড়ছে না ইমরুল কায়েসের। ছেলের অসুস্থতা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ছিলেন দুশ্চিন্তায়। এরপর ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু বিপিএলে। তবে বিপিএলের পর চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন। তখনই করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতেই সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন তার বাবা বনী আমীন বিশ্বাস, যিনি ১৯ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
ইমরুলের বাবা ঢাকায় চিকিৎসাধীয় ছিলেন, তার দেখভালের জন্য ইমরুল সপরিবারে ছিলেন ঢাকায়। মৃত্যুর পর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় মেহেরপুরে। সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের বাড়িতে বাবার দাফনকার্য সম্পন্ন করেন ইমরুল। এরপর প্রশাসনের নির্দেশে গিয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে।
শুধু ইমরুলই নন, তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনেই ইমরুল সপরিবারে কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন, কারণ করোনভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই তিনি অনিবার্য কারণে ঢাকা থেকে ফিরেছেন।
মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. নিাসির উদ্দীন জানান, ইমরুল সরকারি নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পরিবারের সদস্যসহ ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলবেন।
ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যবরণ করেন ইমরুলের বাবা বনী আমীন। সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুধু পরিবারের সদস্যরাই জানাজায় অংশ নেন।