সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে সমগ্র দেশের মানুষ ঘরে অবস্থান করায় কাজের অভাবে মধ্যবিত্ত, দিনমজুর, অসহায় ও খেটে খাওয়া পরিবারগুলো আর্থিক ও খাদ্য সংকটে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ওসমান গনি ভূঁইয়া, মহানগরীর ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব নূরুজ্জামান চৌধুরী ও প্রগতি সংঘের সহ-সভাপতি শরীফ হোসেনের ব্যক্তিগত অর্থায়ণে ২৭নং ওয়ার্ড ও ধামগড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ১ হাজার অসহায় ও কর্মহীন পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদানে কর্মসূচি শুরু হয়েছে
২৭ এপ্রিল সোমবার সকালে মহানগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের চাঁপাতলী এলাকায় ওসমান গনি ভূঁইয়ার বাস ভবনের সামনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে গরীব অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেয়া হয়।
পর্যায়ক্রমে স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে ২৭নং ওয়ার্ডের ও ধামগড় ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকার অসহায় ও কর্মহীনদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট পৌছে দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
বন্দর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ উপস্থিত থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলমাস ভূঁইয়া, ২৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হুসাইন, প্রগতি সংঘের উপদেষ্টা মোস্তফা কামাল ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি আবদুল মোতালিব, বন্দর থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আহাম্মদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, ২৭নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি এছাক মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা তুরাগ ভূঁইয়া ও ফয়সাল আহম্মেদ হৃদয় সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিতরণ করা খাদ্যসামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে ছিল ৮ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পিয়াজ, ২ কেজি আলু, ১ লিটার সয়াবিন তেল, আধা কেজি লবন ও ১টি সাবান।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের প্রধান উদ্যোক্তা ওসমান গনি ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে এবং অসহায়রা যাতে খাদ্য সংকটে না পড়ে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে এ দুর্যোগ মোকাবেলা করা কঠিন। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ সরকারকে সহায়তা করা। দেশের স্বার্থে সমাজের বিত্তবানদের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে আপনারা দয়া করে যার যার অবস্থান থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। আমরা যদি যার যার নিজের এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাড়াই তাহলে বাংলাদেশের কেউ না খেয়ে থাকবে না। সেক্ষেত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে বলেছেন আমাদেরকে ঠিক সেভাবেই বিতরণ করতে হবে। আর অবশ্যই এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার নির্দেশিত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি সবাই মেনে চলুন ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। আসুন সকলে সতর্ক থাকি এবং বেশী বেশী আল্লাহর কাছে দোয়া চাই যাতে আল্লাহ আমাদেরকে এই গজব থেকে মুক্তি দেন’।