সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
করোনাভাইরাস ইস্যূতে স্থবির হয়ে আছে গোটা বিশ্ব। মরণব্যাধি এই ভাইরাসে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মানুষ। করোনার আতঙ্কে চলাচল কমিয়ে দিয়েছে মানুষ। সরকারিভাবে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে দুঃস্থ ও অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের আয় উপার্জন। একই পরিস্থিতি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের খেটে খাওয়া দিনমজুর ও অসহায় গরীবদের অবস্থা। আর এমন সময় ইতিমধ্যে আড়াইহাজার উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান তরুণ সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রাজীব হাসান মিয়া সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছেন এসব গরিব- দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে।
ফতেহপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের এলাকায় গরীব অসহায় দিনমজুর পরিবার খুজে খুজে খাদ্র সামগ্রী বিতরণ করছেন তার নির্দেশনায় কয়েকজন সেচ্ছাসেবক। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই ফতেহপুর ইউনিয়নবাসীর মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করেন তিনি। একই সঙ্গে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও লিফলেট বিতরণে কাজ করেন তিনি।
তারই ধারাবাহিকতায় ৫ মে মঙ্গলবার বিকেলে ফতেহপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড, গ্রাম, পাড়া মহল্লায় সেচ্ছাসেবক দ্বারা এলাকার দুঃস্থ ও অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে মোঃ রাজীব হাসান মিয়ার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, লবণ সহ মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করা হয়।
এ বিষয়ে মোঃ রাজীব হাসান মিয়া বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী গরিব দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। দেশের সামর্থ্যবান মানুষদের বলব, অনুগ্রহ করে আপনারাও এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। ক্ষুধার জ্বালায় অনেক মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, সরকারের দিকে তাকিয়ে না থেকে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা তার নির্দেশ মেনে কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমি ও আমার পরিবার সাধ্যমত এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখব ইনশাল্লাহ। যেসব সেচ্ছাসেবক আমাকে এ কাজে সহযোগিতা করেছেন আমি তাদের এ শ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এ বিষয়ে তিনি আরোও বলেন, সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের। যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক। যিনি আমাদের জীবন ও মৃত্যুর একমাত্র নির্ধারক। যিনি আমাদের রিজিকদাতা। গোটা বিশ্বজগতে যার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ। যিনি সর্বদ্রষ্টা, সর্বজ্ঞানী। তিনি পারেন একমাত্র আমাদের এ গোটা পৃথিবী জুড়ে এখন সর্বত্র যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজমান করোনা ভাইরাস তা থেকে মুক্তি দিতে। তবে আমাদের সবার এখন উচিত বাসায় থাকা, অতি প্রয়োজন ছাড়া কারো বাহিরে না যাওয়া।প্রত্যেকের উচিত বিশ্বস্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
এসময় রাজীব হাসানের পিতা (অবঃ) সার্জেন্ট জয়নাল আবেদীন ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন- সাবেক মেম্বার ফারুক মিয়া, সেচ্ছাসেবক কালাম মিয়া, মো: ডালিম মিয়া, মামুন হোসেন ,আবদুল কাইয়ুম, ও আল আমিন প্রমূখ।