রাজপথে নির্যাতিত, জনগণের মাঝে নিবেদিত তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে অপরিহার্য্য অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার যা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি গঠনের মাধ্যমে তৈমূর আলম খন্দকার ও অনুগামী রাজপথের নেতাদের মাইনাস করে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির অবস্থা রসাতলে সেটাও প্রমাণিত হয়েছে যখন জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হলেও চরম ব্যর্থতার কারনে বিলুপ্ত করা হয়। আর মহানগর বিএনপির সকল কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে।

তৈমূর আলমকে সরিয়ে নতুন কমিটি হলেও সেখানকার একজন নেতাও তৈমূর আলমের মত পুলিশের বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়ানোর মত বুকের পাঠা কেউ দেখাতে পারেনি। পিঠে হাতে পায়ে গলায় পুলিশের নির্যাতনের পরেও রাজপথে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকার মত নেতা কেবল তৈমূর আলম খন্দকার। তবে তিনি শুধু রাজপথে নয় জনগণের দুঃখে দূর্দশায় বিপদেও পাশে থাকেন সেটাও তিনি আবারো প্রমাণ করলেন। মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে তিনি রূপগঞ্জের ২৫ হাজার গরীব অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবারের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। সেই সঙ্গে জেলার অন্যান্য এলাকাতেও তিনি সমানতালে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। যেসব নেতাকর্মী সমস্যায় রয়েছেন এমন অনেক নেতাকর্মীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন নিভৃতে নীরবে।

জানাগেছে, গত ৭ এপ্রিল থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে গরীব অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণে নামেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। প্রথম দফায় রূপগঞ্জের ১০ হাজার পরিবারের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। একই সঙ্গে তিনি বন্দর ও ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় গরীব অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। রূপগঞ্জে দশ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শেষে তিনি দ্বিতীয় দফায় আরও ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছেন। প্রতিদিন রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন নেতাকর্মীরা।

প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে রূপগঞ্জের রূপসি খন্দকার বাড়িতে ১৫ হাজার মানুষের জন্য আয়োজন করা হতো। সেই অর্থ এ বছর গরীব অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে ব্যয় করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষক যখন তার পাকা ধান কাটতে শ্রমিক পাচ্ছেনা তখন কৃষকের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ফলে নিয়মিত রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারে তৈমূর আলমের নির্দেশে কৃষকদের পাকা ধান কেটে বাড়িতে তুলে দিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। একইভাবে বন্দরে ও ফতুল্লায় ধান কাটার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে যাদেরকে জানালে তারা কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে তুলে দিয়ে আসবেন।

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম শুধু এসব কর্মকান্ডেই নয় যখন প্রভাবশালী ভূমিদস্যূরা অসহায় মানুষের জমি দখল করে নেয় তখন তৈমূর আলম খন্দকার সবার আগেই এগিয়ে আসেন। প্রভাবশালী ভূমিদস্যূদের বিরুদ্ধে যখন কেউ কথা বলতেও সাহস পায়না তখন তৈমূর আলম খন্দকার জমির মালিকদের নিয়ে আন্দোলনস্বরূপ মানববন্ধন করেন, আদালতে আইনি লড়াই করেন এবং বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন। রূপগঞ্জে ভূমিদস্যূদের বিরুদ্ধে মামলা করায় ও আন্দোলন করায় একটি মামলায় তাকে ইন্দনদাতা হিসেবেও অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তবুও তিনি থেমে যাননি।

তৈমূর আলম খন্দকারের ইতিহাস রিক্সাচালক, ভ্যানচালকদের মত শ্রমিকদের পক্ষে আন্দোলন দিয়ে মানব সেবা শুরু। করেছেন গৃহকত্রীদের পক্ষে তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন। বধির সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন কয়েকযুগ। অন্ধ বধিদের সঙ্গে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন।

এ ছাড়াও নিজ এলাকায় মসজিদ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিতেও রূপগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহরে ভুমিকা রেখেছেন। নারায়ণগঞ্জে বেগম রোকেয়া খন্দকার উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় করেছেন তিনি। মুসলিম একাডেমী করেছেন তিনি। এ রকম বহু ক্ষেত্রে তৈমূর আলম খন্দকারের ভুমিকা উল্লেখ করার মত যা বলে শেষ করা যাবে না।

অন্যদিকে রাজনীতিতে ১/১১ এর সময় তারেক রহমানের পক্ষে মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তাকে জবানবন্দি দিতে বলা হলেও তিনি দেননি। যার ফলশ্রুতিতে তিনি ২৬ মাস কারাগারেও ছিলেন।

রাজপথ থেকে কখনও সটকে পড়েননি তৈমূর আলম। যার দুরণ ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় সদর মডেল থানা পুলিশের তৎকালীন সেকেন্ড অফিসার আতিয়ার রহমান লাঠি দিয়ে তৈমূর আলমের পিঠে আঘাত করেছিলেন। ২০১৪ সালে শহরের নিতাইগঞ্জে অবরোধ পালনে গেলে পুলিশের লাঠি পেটার শিকার হন তিনি। ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ার সামনে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামালউদ্দীন তৈমূর আলমের গলা চেপে ধরেন। এক পর্যায়ে তৈমূর আলমের জিব্বাহ বের হয়ে আসলেও নেতাকর্মীরা সটকে পড়েন তখন তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিএনপির সরকার আমলে এই নেতা এডিশনাল এ্যাটর্ণী জেনারেল হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাকে বিআরটিসির চেয়ারম্যান করা হয়। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জের বিপুল পরিমান মানুষের চাকুরীর ব্যবস্থা করেছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।