সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
‘কৃষক বাচলে দেশ বাঁচবে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে করোনা পরিস্থিতিতে যখন কৃষকের পাকা ধান কাটতে শ্রমিক সংকট তখন কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা। নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এবার তারা এক বাক প্রতিবন্ধী অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিয়েছেন।
১১ মে সোমবার সকালে বারদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের অসহায় এক বাক প্রতিবন্ধী কৃষকের ধান কেটে দেন নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের কথা চিন্তা করে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশে বারদী ইউনিয়নের অসহায় দরিদ্র কৃষকের পাকা ধান কেটে দিয়েছি।
তিনি বলেন, গত ৬ দিন আগে ওই দরিদ্র বাক প্রতিবন্ধী কৃষকের ছেলে সজিনা গাছ থেকে পড়ে গিয়ে তার এক হাত ভেঙে যায়। ধান কাটার জমানো টাকা দিয়ে ছেলের চিকিৎসা করিয়ে এখন অসহায়। ৩৫ শতাংশ জমির পাঁকা ধান কাটার মত কোনো টাকা তার হাতে নেই।
সেলিম হোসেন দিপু আরও বলেন, আমি লোক মারফতে জানতে পারি বারদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আলগীরচর প্রামের বাক প্রতিবন্ধী জয়নাল মিয়ার অসহায়ত্বের কথা। তাই শুনে আর বসে থাকতে পারি নাই। সোমবার ফজরের নামাজ আদায় করে যুবদলের নেতাকর্মী ও এলাকার যুবক ভাইদের নিয়ে চলে আসি এবং তার ৩৫ শতাংশ জমির পাঁকা ধান কেটে মারাই করে দেই।
তিনি বলেন, সকাল থেকে হাটু সমান পানিতে অনেক কষ্ট হয়েছে কাটতে। তারপরও আপ্রাণ চেষ্টায় ওই কৃষকের ধান কেটে দিতে পেরে আমরা ধন্য। এ নিয়ে প্রায় ১১ বিঘা অসহায় দরিদ্র কৃষকদের ধান আমরা কাটতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের যত কষ্টই হোক আমরা এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।
তিনি জানান, কৃষকের ধান কেটে দেওয়ার জন্য যুবদলের নেতাকর্মী নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন অসহায় কৃষকের ক্ষেতের ধান কেটে বাড়িতে পৌছে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সেক্রেটারি গোলাম ফারুক খোকনের নির্দেশে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে সেলিম হোসেন দিপু দাবি করেন।