সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, মানুষের জীবন আগে জীবিকা নয়। বেঁচে থাকলে বহু ঈদ আনন্দ ফূর্তিতে করতে পারবেন। তাই আগে ডাল ভাত খেয়ে জীবন বাঁচান।
১৪ মে বৃহস্পতিবার রাতে সান নারায়ণগঞ্জে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ্য করে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, নারায়ণগঞ্জের সকল মার্কেটগুলো বন্ধ করে দিন। নতুবা নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিবে।
তৈমূর আলম বলেন, মার্কেট খোলার অনুমতি দেয়া সরকারের বিরাট বড় ভুল। সরকারের কর্মকান্ডে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারছিনা। প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে। নতুবা করোনা ভাইরাস মহামারি বিরাট আকার ধারণ করবে।
অন্যদিকে এখানে উল্লেখ্যযে, ইতিমধ্যে গত ৭ এপ্রিল থেকে নারায়ণগঞ্জের অসহায় দিনমজুর কেটে খাওয়া পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করছেন তৈমূর আলম খন্দকার। জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় প্রথম দফায় তিনি ১০ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। পরবর্তীতে আরও ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের ঘোষণা দেন যা শেষ হয়েছে। ১৪ মে থেকে তৃতীয় দফায় আবারো খাদ্য সামগ্রী বিতরণের ঘোষণা দিয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার। যা ৩০ মে পর্যন্ত চলবে। এ ছাড়াও তিনি ফতুল্লার বক্তাবলী ও বন্দর থানা এলাকাতেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। সেই সঙ্গে তিনি সমস্যায় থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদেরও পাশে দাঁড়িয়েছেন।
একই সময়ে তিনি করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষকের জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান রাখেন। তার এই আহ্বানে নিয়মিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কৃষকের জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন। রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারে নিয়মিত তার নির্দেশে কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
বন্দরের যুবদল নেতা আহাম্মদ আলীর নেতৃত্ব ধান কাটার কমিটি গঠন করা হয়েছে যে কমিটিকে কৃষক জানালে তারা কৃষকের ধান কেটে দিবেন। একইভাবে ফতুল্লায় যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব কৃষকের ধান কাটা কমিটি গঠন করেছেন যে কমিটি কৃষকের ধান কেটে দিবেন। তৈমূর আলম খন্দকার ঘোষণা দিয়েছেন যেসব নেতাকর্মীরা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদেরকে গণসংবর্ধনা দিবেন তিনি।