সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
কোনো চুমুর দৃশ্য নয়, এমনকী আলিঙ্গনও। করোনা সংক্রমণের পর ভারতীয় বাংলা সিরিয়ালের নতুন জগতটা আপাতত এরকমই হতে চলেছে। ভবিষ্যতে হয়তো সিরিয়াল ছাড়িয়ে এ নিয়ম গড়াতে পারে সিনেমাতেও। পাশাপাশি, ৬৫ বছরের বেশি এবং ১০ বছরের কম বয়সী অভিনেয়শিল্পীদের আর দেখা যাবে কি না, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
টলিউডে শুটিংয়ের নতুন নিয়মাবলী ঠিক করতে মঙ্গলবার টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে আলোচনায় বসেন চ্যানেল প্রযোজক, টেকনিশিয়ান ও শিল্পীদের ফোরামের প্রতিনিধিরা। প্রযোজকরা প্রস্তাব দেন, শুটিং ফ্লোরে একসঙ্গে ছয় জন শিল্পীকে নিয়ে শুটিং হবে।
অর্থাৎ ৩৫ জনের ইউনিটে শিল্পীর সংখ্যা হবে ছয় জন। ঘনিষ্ঠতা এবং চুমুর দৃশ্য নিয়েও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এও ঠিক হয়, ফ্লোরে থাকা শিল্পীর প্যাকআপের পর মেকআপ রুম স্যানিটাইজ করে পরবর্তী শিল্পীদের ডাকা হবে। এদিন বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত মূলত টিভি ধারাবাহিকের জন্য হলেও একই নিয়ম দেখা যেতে পারে ছবির শুটিংয়ের ক্ষেত্রেও।
এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন কলকাতার সুপারহিট নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘করোনা কতদিন থাকবে আমরা কেউ জানি না। যদি এক বছর থাকে, ততদিন সিনেমাতে কোনো ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিং হবে না, সেটা তো হয় না।’ তার কথা, ‘শিল্পীদের টেস্ট করে নিতে হবে, করোনা পজিটিভ বা কোনো লক্ষণ আছে কিনা। সব ঠিক থাকলে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করা যেতে পারে।’
তবে টিভি অভিনেতা ঋষি কৌশিক বলেন, ‘বাংলা ধারাবাহিকে চুম্বন দৃশ্য থাকে না, ঘনিষ্ঠ দৃশ্য থাকে। শুটিং শুরু হলেও সব শিল্পীর মনে করোনার ভয় থাকবে। সে ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ছাড়া শুটিং করতে পারলেই ভালো। নতুন এপিসোড তৈরি হলে দর্শক অন্তত দেখতে তো পারবেন।’
এদিকে, বলিউডে ৬৫ বছরের বেশি অভিনেতাদের শুটিং ফ্লোরে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। তার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য।
সংস্থার বক্তব্য, নয়া বিধির জেরে অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র থেকে শুরু করে নাসিরুদ্দিন শাহের মতো কিংবদন্তি অভিনেতা কিংবা শ্যাম বেনেগাল, মণি রত্নমের মতো খ্যাতিমান পরিচালকরা কাজই শুরু করতে পারবেন না। তাই নিয়ম শিথিল করা হোক। যদিও এখনও সেই আবেদনের কোনো সাড়া মেলেনি।