সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
হাসিনা নুর (৬৫) গত ১ মে মুগদা হাসপাতালে করোনা পজিটিভ হয়ে ইন্তেকাল করেন। হাসিনা নুরের পরিবার বছর দুয়েক যাবৎ বসবাস করেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লীতে। আগে ছিলেন শহরের মাসদাইরে। হাসিনা নুর করোনায় মারা গেছেন বলে সিদ্ধিরগঞ্জের কবরস্থানে দাফন করতে বাধা আসে।
নিরুপায় হয়ে মরহুমার ছেলে নুরুল আমিন মাসুম যোগাযোগ করেন কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের সাথে। পরে খোরশেদ ও তার টিম হাসিনা নুরকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কেন্দ্রীয় কবরস্থান মাসাদাইরে দাফন করেন।
হাসিনা নুরকে সেবা করতে গিয়ে তার দুই সন্তান নুরুল আমিন মাসুম ও তাসনীমা নুর করোনায় আক্রান্ত হন। তারা চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হওয়ার পরে তাদের মায়ের মাগফেরাত কামনায় দুই ভাইবোন টিম খোরশেদের প্লাজমা টিমে প্লাজমা দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
সেই মোতাবেক গত ৯জুন নুরুল আমিন মাসুম নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ ভূইয়ারবাগ নিবাসী আবুল কালামকে ৪০০ এমএল প্লাজমা ডোনেট করেন আলী আজগর হাসপাতালে। ১১ জুন তাসনীমা নুর ধানমন্ডি নিবাসী মীর হোসাইন চৌধুরী (৬২) কে গ্রীণ লাইফ হাসপাতালে ২০০ এমএল প্লাজমা দান করেন।
দুই ভাই বোন প্লাজমা প্রদান শেষে বলেন, করোনায় আক্রান্ত আমাদের মাকে আমরা বাচাঁতে পারি নাই। যদি আমাদের দেয়া প্লাজমায় কোন মানুষের জীবন আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন রক্ষা করেন তবেই আমাদের মা হারানোর কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে। দুই ভাই বোন ১৫ দিন পরে পুনরায় প্লাজমা ডোনেট করবেন বলেও জানান।
টিম খোরশেদের প্রধান টিম লিডার মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, এইভাবে যদি করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে প্লাজমা ডোনেট করে তাহলে আরেকজন রোগীকে সুস্থ করা ও করোনাকে জয় করা সম্ভব। তাই প্লাজমা দিন-জীবন বাচাঁন।