সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা নাই এক মুঠো চাল বিতরণে

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান মহামারি করোনা পরিস্থিতির শুরুতেই এ আসনের অসহায় গরীব দুস্থ মানুষের জন্য ১ কোটি টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি করোনা চিকিৎসায় নানা ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করেছেন। একই সঙ্গে করোনার ল্যাব স্থাপন সহ কয়েক কোটি টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান। এসব তারা নিজ তহবিল থেকেই করেছেন। কিন্তু গত নির্বাচনে তাদের দুই প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে একটি গরীব মানুষের হাতে এক মুঠো চাল বিতরণেও ছিলেন না। এখনও নাই।

এসব কারনে স্থানীয়রা বলছেন- যারা এমপি হয়েছেন তারা না হয় বেশি বেশি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। কিন্তু যারা তাদের প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী হয়ে এমপি হতে চেয়েছিলেন তারা তো অন্তত একটি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারতেন। কিন্তু সেটাও তাদেরকে দেখা গেল না। যার মধ্যে একজন সাবেক এমপি রয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে তাদের ছায়াও দেখা গেল না।

জানাগেছে, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন একেএম শামীম ওসমান। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী হিসেবে ছিলেন ঐকফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। তিনি জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী ছিলেন এসএম আকরাম। তিনি নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা। তিনি এ আসনের আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থন চেয়ে পাননি। নির্বাচনের পরবর্তীতে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

করোনা মহামারিতে যখন এমপি সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান অসহায় মানুষের পাশে কোটি কোটি টাকা নিজ তহবিল থেকে খরচ করছেন। চাল ডাল সহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। একই সঙ্গে করোনার স্যাম্পল সংগ্রহের ব্যবস্থা ও পরবর্তীতে ল্যাব স্থাপন এবং করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা ও চিকিসৎক নার্সদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে এসএম আকরাম ও মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে গরীব অসহায় পরিবারের মাঝে এক মুঠো চাল বিতরণেও দেখা যায়নি। অথচ তারা এমপি হতে চান। যারা জনগণের পাশে এক মুঠো চাল বিতরণ করেও গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলোনা তারা কিভাবে জনপ্রতিনিধি হবে? এমন প্রশ্ন স্থানীয় জনগণের।