সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
করোনার ভয়ে যখন মানুষ ঘরবন্দী, তখন রাত-দিন মানুষের পাশে থেকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আড়াইহাজার উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের তরুণ সমাজসেবক, ব্যবসায়ী ও ছাত্রদল নেতা মোঃ রাজীব হাসান মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, করোনাভাইরাস ইস্যূতে স্থবির হয়ে আছে গোটা বিশ্ব। মরণব্যাধি এই ভাইরাসে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মানুষ। করোনার আতঙ্কে চলাচল কমিয়ে দিয়েছে মানুষ। সরকারিভাবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে দুঃস্থ ও অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের আয় উপার্জন। একই পরিস্থিতি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের খেটে খাওয়া দিনমজুর ও অসহায় গরীব ছাত্রদের পরিবারের অবস্থা। আর এমন সময় ইতিমধ্যে আড়াইহাজার উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান তরুণ সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রাজীব হাসান মিয়া সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
আরও জানাগেছে, করোনার শুরুতেই ফতেহপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের এলাকায় গরীব অসহায় দিনমজুর শিক্ষার্থী পরিবার খুজে খুজে খাদ্র সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন তিনি। তাছাড়া করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই ফতেহপুর ইউনিয়নবাসীর মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করেন তিনি। একই সঙ্গে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও লিফলেট বিতরণে কাজ করেন তিনি।
তিনি জানান, গত ৫ মে মঙ্গলবার বিকেলে প্রথম পর্যায় ফতেহপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড, গ্রাম, পাড়া মহল্লায় এলাকার দুঃস্থ ও অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, লবণ সহ মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করি।আমার এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
অথচ আড়াইহাজার উপজেলা হতে যারা ছাত্রদলের নেতা হতে চান তারা যেন তাদের কান্না শুনছেনই না। রাজনীতির মাঠে সরব থাকলেও করোনায় মাঠে নেই আড়াইহাজার উপজেলার ছাত্রদলের অধিকাংশ নেতা। এ নিয়ে আড়াইহাজারে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কিন্তু অন্যদিকে ছাত্রদল নেতা মোঃরাজীব হাসান মিয়া রাতদিন গ্রামের অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে অসহায় মানুষকে খুঁজে খুঁজে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। করোনা সচেতনতায় শুরু থেকে সক্রিয়ভাবে নিরলসভাবে মাঠে কাজ করছেন। যেখানে আড়াইহাজার উপজেলার হাইব্রীড মার্কা ছাত্রদল নেতারা করোনা মহামারিতেও ঘুমিয়ে আছেন।কিন্তু ছাত্রদলের এমন নিরবতা নানা মহলে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এর উত্তরণ কবে হবে এমন আশায় বুক বেঁধে আছেন কর্মহীন হয়ে পড়া জনগণ।
এদিকে, ছাত্রদলের বর্তমান অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন হত দরিদ্র শিক্ষার্থী পরিবার – দুর্দিনে ছাত্রদল এখন কোথায়? প্রশ্নবিদ্ধ করছে ছাত্রদল সংগঠনের ভাবমূর্তীকে। অনেকে প্রশ্ন রাখছেন করোনায় কোথায় আমাদের আদর্শের নেতৃবৃন্দ? এই দুঃসময়ে কেন আমাদের নেতৃবৃন্দকে দেখতে পাই না!
রাজীব হাসানের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়া আড়াইহাজার উপজেলা শিক্ষার্থী পরিবার বলেন, আড়াইহাজারের ছাত্রদলের নেতাদের মান রাখতে রাজীব হাসান এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। আমরা আড়াইহাজারে এমন নেতাকেই চাই যে নেতা দুঃসময়ে আমাদের কাছে থাকে।আমরা কোন হাইব্রীট মার্কা নেতাকে আড়াইহাজারের নেতৃত্বে চাই না।