পরিষদের ১৭টি সিসি ক্যামেরা ভাংচুর, এবার ইউএনও’র ফেসবুক আইডি হেকড

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. সাইদুল ইসলামের ব্যক্তিগত ফেসবুক হেকড হয়েছে। ২১ জুন রবিবার রাতে ফেসবুক আইডিটি হেকারের কবলে পড়েছে বলে তিনি বুঝতে পারেন।

২২ জুন সোমবার সকালে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম বিষয়টি মিডিয়াতে নিশ্চিত করেছেন। তবে এর আগে দ্বিতীয় দফায় উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তায় লাগানো ১৭টি সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করেছিল দূর্বত্তরা। বিষয়টি রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এর কারন হিসেবে স্থানীয়দের ধারণা কোন দুষ্টচক্র এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত। করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাপক প্রশংসনীয় ভুমিকা রেখে উপজেলার সাধারণ মানুষ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিদের কাছেও আলোচিত হয়েছেন তিনি।

ফেসবুকের বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম জানান, রবিবার রাতে হেকাররা তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিটি হেকড করেছে। এ ফেসবুক আইডি থেকে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে কেউ টাকা দাবি করলে লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। তাছাড়া এ ফেসবুক থেকে অশ্লীল ভাষায় কোন কিছু লিখতে পারেন। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।

তিনি আরো জানান, ফেসবুক আইডিটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে কারা করেছেন এটা চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে তিনি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে এর আগে গত ১০ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন ও অফিসের সিসি ক্যামেরা পূণরায় নষ্ট করে দিয়েছে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা। গত এক মাস পূর্বেও একই কাজ করেছিল দূর্বৃত্তরা। তারপর পরিষদের নিরাপত্তার জন্য লাগানো ১৭টি সিসি ক্যামেরা নষ্ট করে দিয়েছে দূূর্বৃত্তরা।

১০ জুন বুধবার দিবাগত রাতে সিসি ক্যামেরাগুলো নষ্ট করে দেওয়া হয়। ফলে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন সহ উপজেলার সকল অফিস নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। সিসি ক্যামেরা নষ্ট করার পর নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের একটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে গেছে।

বিষয়টি ১১ জুন বৃহস্পতিবার সকালে নিশ্চিত করেছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইদুল ইসলাম। এ বিষয়টিকে তিনি বড় একটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করেছিলেন।

কারন হিসেবে তিনি বলেছিলেন, খুব ভালোভাবে যাচাই করে দেখেছি তারগুলি বৈরী আবহাওয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নষ্ট হয়নি বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারগুলি কেটে দেয়া হয়েছে এবং ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলার আলামত পাওয়া গেছে। তাছাড়া একমাস পূর্বেও আরো একবার তারগুলি কেটে দেয়া হয়েছিলো। এতে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন।