সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
করোনার ভয়ে যখন মানুষ ঘরবন্দী এবং কর্মহীন গরীব দুস্থ দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের পাশে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তরুণ সমাজ সেবজ মোঃ জুনায়েদ ভূঁইয়া প্রিন্স। তার পিতা ওই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আওয়ামীলীগের একটি প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান তিনি।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন- করোনাভাইরাস ইসু্যুতে স্থবির হয়ে আছে গোটা বিশ্ব। মরণব্যাধি এই ভাইরাসে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মানুষ। করোনার আতঙ্কে চলাচল কমিয়ে দিয়েছে মানুষ। সরকারিভাবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে দুঃস্থ ও অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের আয় উপার্জন। একই পরিস্থিতি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের খেটে খাওয়া দিনমজুর ও অসহায় গরীব পরিবারের অবস্থা। আর এমন সময় ইতিমধ্যে আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কৃতি সন্তান তরুণ সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জুনায়েদ ভূইয়া প্রিন্স সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে তারা দাবি করেছেন।
স্থানীয়দের আরও দাবি- করোনার শুরুতেই হাইজাদী ইউনিয়নে গরীব অসহায় দিনমজুর পরিবার খুজে খুজে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তাছাড়া করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই হাইজাদী ইউনিয়নবাসীর মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করেন তিনি। একই সঙ্গে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও লিফলেট বিতরণে কাজ করেন তিনি।
জুনায়েদ ভুঁইয়া প্রিন্স জানিয়েছেন, গত ঈদুল ফিতরের আগে প্রথম পর্যায় হাইজাদী ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড, গ্রাম, পাড়া মহল্লায় এলাকার দুঃস্থ ও অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, লবণ সহ মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করা হয়েছে। তার এই কার্যক্রম অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমি জন্মগতভাবে একজন আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবা বর্তমানে হাইজাদী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দায়িত্বে আছেন। আমার রাজনৈতিক গুরু নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের মাননীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর নির্দেশে করোনার শুরু থেকেই আমি গরিবের পাশে আছি। আমি করোনায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিতরণ থেকে শুরু করে আজও অবধি ত্রাণ বিতরণের কাজ অব্যাহত রেখেছি। আর এসবই করা হচ্ছে আমার নিজস্ব অর্থায়নে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে মানুষের ভালবাসা পেয়েছি। জনগণের দাবিতেই আমি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একজন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী। আমি চাই আমার ইউনিয়ন হবে ক্ষুদামুক্ত, দারিদ্রতা মুক্ত আদর্শ ইউনিয়ন। সেই লক্ষেই আমি এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমি থাকতে আমার ইউনিয়নের একটি লোকও যেন অনাহারে না থাকে সেই জন্য আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে সেচ্ছাসেবক টিম করে দিয়েছি গরীব মানুষের খোজ খবর রাখতে। আমি তাদের সেবক হয়ে থাকতে চাই। আর যতদিন পর্যন্ত করোনার এই মহামারি থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমার ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে। জনগণের কল্যাণেই আমার রাজনীতি।