সোনারগাঁয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখলে নিতে যুবলীগ নেতার তান্ডব, আহত ৫

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের মহিলা সহ ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। ২৭ জুন শনিবার সকালে ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী মোঃ সেলিম মিয়া বাদী হয়ে শনিবার রাতে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে দাবি করা হয়- উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ও যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলাম হিন্দু সম্প্রদায়ের গনেশ দত্তের জমি সোনারগাঁও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের উৎকোচের বিনিময়ে লিজ কেটে তার নামে করে নেয়। লিজের নিয়মানুযায়ী লিজকৃত জমি দখলে রাখতে হয়। গনেশ দত্তের জমি লিজ কেটে নিয়ে যাওয়ার পর গনেশ দত্ত পুণরায় সোনারগাঁও ভূমি অফিসে যুবলীগ নেতা খাইরুলের লিজ বাতিলের আবেদন করেন।

পরবর্তীতে লিজ বাতিলের আবেদনের পর নোয়াগাঁও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে জায়গাটি গনেশ দত্তের দখলে পান। এ নিয়ে সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলে। গনেশ দত্তের দখলে থাকায় ওই জমিতে আধাপাকা ও কাঁচাঘর নির্মাণ করে বসবাস করেন গনেশ দত্ত। জমিটি একই দাগে হওয়ার কারনে পার্শ্ববর্তী সেলিম মিয়ার ক্রয়কৃত জমি পতিত থাকার কারনে ওই জমি দখলের চেষ্টা করে যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলাম।

অন্যদিকে শনিবার সকালে যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলাম পুণরায় ওই জমি দখল করতে গেলে বাঁধা দেন সেলিম মিয়া।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুল ওহাবের ছেলে খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে ফারুক, শফিকুল, ইলিয়াস, রুবেল, কবির সহ ৩০-৪০ জনের একটি বহিরাগত লোকজন নিয়ে ওই জমির কলাগাছ সহ বিভিন্ন ফসলের গাছ কেটে টিনের বেড়া দিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। পুনরায় বাঁধা দেওয়ায় দেশীয় অস্ত্র দা, বল্লম, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড নিয়ে হামলা করে সেলিম মিয়া, মোঃ হালিম মিয়া, নার্গিস বেগম, আয়েশা আক্তার, শাহিনা আক্তারকে আহত করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন চর দখলের ন্যায় হিন্দু ব্যক্তির জমি দখল করে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।

আহতদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আমি আমার লিজকৃত সম্পত্তি দখল করেছি। সেলিম মিয়ার লোকজন আমার সম্পত্তিতে দেওয়া টিনের বেড়া ভাংচুর করে লুটপাট করেছে।

সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক তদন্ত শরীফ আহমেদ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে তদন্তে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।