সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর, বশিরগাঁও, উত্তর কাজিপাড়া, সেকেরহাট, চরতালিমাবাদ, দড়িকান্দি, রাজাপুর গ্রামবাসী ডাকাতি, চুরি ঠেকাতে ৭ গ্রামের মানুষ লাঠিসোটা হাতে রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন। গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় ডাকাতের আনাগোনা বেড়ে গেছে।
উপজেলার মহজমপুর গ্রামে এক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনাও ঘটে। এতে করে ওই এলাকায় ডাকাত ও চোর আতংক বেড়ে যায়। ফলে রাত জেগে লাঠিসোটা নিয়ে পাহাড়া দিচ্ছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্ষা মৌসুম এলেই এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতংক বেড়ে যায়। নদী ঘেঁষে গ্রাম হওয়ার কারনে ডাকাতরা বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে যায়। টাকা পয়সা না পেলে কুপিয়ে আহত করে ডাকাতরা। এলাকার মানুষ প্রতিদিন রাতে ১৫-২০ জনের দল তৈরি করে লাঠিসোটা নিয়ে পাহাড়া দিচ্ছেন। মাঝে মধ্যে ডাকাতদের সতর্ক করতে উচ্চ শব্দে খবরদার বলে ডাক চিৎকার দেয়।
এলাকাবাসীর আরো অভিযোগ, করোনাকালীন সময়ে ডাকাত ও চোরের উপদ্রপের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। মহজমপুর গ্রামের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে মাদক কেনা বা সেবনের জন্য এ এলাকায় দিনের বেলায় বহিরাদের প্রবেশ বেড়ে গেছে।
গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে গত ১৯ জুন শুক্রবার মহজমপুর বাজারে মো. শহীদুল্লাহ সরকারের সভাপতিত্বে মাদক, চুরি ও ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধে সভা করেন। সভার পর ২৭ জুন এক মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবা বিক্রির সময় গ্রামবাসী ৪৮ পিস ইয়াবা সহ আটক করে পুলিশে দেয়। এসময় তার আরেকজন সহযোগী পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
বশিরগাঁও গ্রামের মনির হোসেন বলেন, প্রতিদিনই ডাকাতরা এ এলাকায় হানা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সুযোগ বুঝে টার্গেট করা বাড়িতে ডাকাতি করে থাকে। এলাকাবাসী ডাকাতি ও চুরি প্রতিরোধে প্রতিদিন পাহাড়া দিয়ে থাকেন।
তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মো. আহসান উল্লাহ বলেন, চুরি, ডাকাতি ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি গ্রামবাসী পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছেন। এতে করে ডাকাতি ও চুরি ঠেকানো সম্ভব হবে বলে আশা করি। তবে দিনের বেলায় বহিরাগত ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।