সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক কর্তৃক স্বামীকে অপহরণের পর নির্যাতন ও ২ লাখ টাকার বিনিময়ে মুক্তি দেওয়ার অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিক নাসিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৫ জুলাই রবিবার বিকেলে নাসিরকে তার নিজ গ্রাম রাধানগর থেকে কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ফাড়ির এস.আই কায়কোবাদ গোপন সংবােিদর ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গিয়ে তাকে আটক করে।
উল্লেখ্য, উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজারকান্দী গ্রামের সাহাবুদ্দিনের ছেলে শাহীন আহাম্মেদের সাথে দেড় বছর পুর্বে হাজিরটেক গ্রামের সিরাজুলের মেয়ে খাদিজা (২৫) এর সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী খাদিজা স্বামীর সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে। স্ত্রীকে অনেক বুঝিয়েও স্বামী ব্যর্থ হন। স্ত্রীর খারাপ আচরণের কারন খুজতে গিয়ে দেখেন রাধানগর গ্রামের আনু মিয়ার ছেলে নাসির (৪০) এর সাথে খাদিজার পরকিয়া প্রেম চলছিল। এরই কারনে সে স্বামীর সাথে খারাপ আচরণ করে আসছে। এলাকাবাসী জানায়, নাসির এলাকার একজন চিহ্নিত জুয়ারী। সে এলাকায় পরকিয়া করে একাধিক সংসার ভেঙ্গেছে।
গত ২৯জুন বেলা ১২টার দিকে স্ত্রী খাদিজা মার্কেট করার কথা বলে স্বামীকে নিয়ে কালাপাহাড়িয় থেকে আড়াইহাজরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তারা খাগকান্দা হতে রিকসা যোগে উচিৎপুরা ব্রিজের কাছে পৌছলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা পরকিয়া প্রেমিক নাসির এবং তার সহযোগীরা স্বামী শাহীনকে চোখ বেধে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে শাহীনকে মারধর করে তার ভিডিও ধারণ করে পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ২লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
অপহরণকারীদের কথামত ২লাখ টাকা পরিশোধ করিলে ৩০জুন শাহীনকে চোখ বেধে উচিৎপুরা হাজী বেলায়েত কলেজ রোডে নির্জন স্থানে ফেলে যায়। শাহিন জানান, স্ত্রী খাদিজা এবং তার পরকিয়া প্রেমিক নাসির সহ আরো কয়েকজন তাকে রশি দিয়ে বেধে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। এ ব্যাপারে শাহীন আহাম্মেদ বাদী ১ জুলাই আড়াইহাজর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়।
কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই কায়কোবাদ নাসিরকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।