সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে অনুমোদনবিহীন মশার কয়েল উৎপাদনের দায়ে ৫টি কারখানার ৫জনকে সাজা দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। একই সঙ্গে ওইসব কারখানাগুলো সীলগালা করা হয় এবং অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ৭ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিএসটিআই ও তিতাস গ্যাস কোম্পানী এর সহযোগিতায় র্যাব-১১ এর বিশেষ আভিযানিক দল ৭ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন ধামগড় এলাকায় অবস্থিত সেবা কর্পোরেশন, শারমিন কেমিক্যাল, সাব্বির কেমিক্যাল ওয়াকর্স, বিবি এন্টারপ্রাইজ ও শাহেলা ট্রেডিং নামক ৫টি মশার কয়েল তৈরির কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে কারখানা চালানোর অপরাধে ৫ জনকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোঃ রফিকুল ইসলাম (৪০), মোঃ আকাশ (২২), মোঃ সাইদুর রহমান (২৩), টোকন সরকার (২৯) ও মোঃ সাইদুল ইসলাম (৩৯)।
এ সময় কারখানা ৫টি হতে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কয়েল জব্দ করা হয়। র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত উক্ত অপরাধগুলো আমলে নিয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু কর্তৃক প্রত্যেকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান ও তার নির্দেশে কারখানাগুলোকে সীলগালা করা হয় এবং তিতাস গ্যাস কোম্পানী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কারখানাগুলোর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, উক্ত কারখানা ৫টি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অনুমোদনবিহীন ভেজাল কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। সেবা কর্পোরেশনের সিভিল ম্যাজিক, এ-টু-জেড ও গাজী পাওয়ার জাম্বো মশার কয়েল, শারমিন কেমিক্যাল এর তারা ও চমক মশার কয়েল, সাব্বির কেমিক্যাল ওয়ার্কসের গুড ফাইট মশার কয়েল, বিবি এন্টারপ্রাইজ এর ওয়ান স্টার, লাওন ম্যাক্স, তুলশী পাতা ও আইকন পাওয়ার মশার কয়েল শাহেলা ট্রেডিং এর এ্যাকটিভ ও বিঘো মশার কয়েলসহ ইত্যাদি বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন ব্রান্ডের নামে মশার কয়েল তৈরী ও পাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে আসছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনকৃত কয়েলগুলি নি¤œমানের যা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই অননুমোদিত ভেজাল কয়েল উৎপাদন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
এভাবে কারখানা ৫টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে ভেজাল কয়েল উৎপাদন করে জনস্বাস্থ্যের ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। তিতাস গ্যাস কোম্পানীর টেকনিশিয়ানের প্রাক্কলনে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে উক্ত কারখানাগুলোর প্রত্যেকটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে আসছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ সহ র্যাবের ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।