সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া।
১০ জুলাই শুক্রবার এক শোকবার্তায় অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া এই শোক প্রকাশ করেন এবং মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সেই সঙ্গে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
জানাগেছে, থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৫ মিনিটে তিনি মারা যান। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। চিরকুমারী সাহারা খাতুনের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তার ব্যক্তিগত সহকারী মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেশের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঢাকা-১৮ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত সোমবার অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় গত ২ জুন সাহারা খাতুন ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
এরপর অবস্থার উন্নতি হলে তাকে ২২ জুন দুপুরে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৬ জুন সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। এরপর গত ৬ জুলাই (সোমবার) সাহারা খাতুনকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ এবং মায়েন নাম টুরজান নেসা।
সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ঢাকা-১৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সাহারা খাতুন তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় আসলে প্রথমে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। পরে সেখান থেকে সরিয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের।