সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ডাকাত সর্দার হাবিবুর রহমান হাবু ও তার ছেলে আশিক সহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে এলাকাবাসী। ওই বিক্ষোভ মিছিলে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলামকে ভূমিদস্যূ আখ্যায়িত করে মুল ইন্ধনদাতা হিসেবে তার বিচার দাবিতেও বিক্ষোভ মিছিল ও শ্লোগান দেন এলাকাবাসী।
১৩ জুলাই সোমবার বেলা ১১টার দিকে বারদী ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকায় নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে হাবু ডাকাত ও তার বাহিনীর বিচার দাবী করে বিক্ষোভ মিছিল করে। কেউ কেউ জানিয়েছেন বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে এসব লোকজন জড়ো করে এই বিক্ষোভ মিছিল করানো হয়েছে।
এদিকে যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা ঘটনায় আমিনুল ইসলামের বড় ভাই বাদী হয়ে হাবু ডাকাতকে প্রধান আসামী করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়- বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হকের মদদে উপজেলার শান্তিরবাজার এলাকায় একটি জমি নিয়ে ডাকাত সর্দার হাবিবুর রহমান হাবু, ফারুক মেম্বার, সানু মেম্বার, আমজাদ হোসেন ও সানাউল্লাহ সিন্ডিকেট আব্দুল মতিনের একটি জমি জোড়পূর্বক দখলে নিয়ে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে।
এ নিয়ে গত শনিবার সকালে সোনারগাঁও থানায় একটি বিচার শালিস হয়। বিচার শালিসে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন উপস্থিত হয়ে আব্দুল মতিনের জমির কাগজপত্র সঠিক পায়। ওই সালিসে চেয়ারম্যান মোশারফ জমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিচারের রায় ঘোষনা করার কথা জানান।
পরদিন রোববার সকালে মোশারফ হোসেন ঘটনাস্থলে গেলে যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম ভুক্তভোগী আব্দুল মতিনের পক্ষে কথা বলায় মোশারফ চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর তাকে একা পেয়ে হাবু ডাকাতের নেতৃত্বে ১৮-২০ জনের একটি দল এলোপাথাড়িভাবে আমিনুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
বিক্ষোভ মিছিলে এলাকাবাসীর অভিযোগ, জহির চেয়ারম্যানের নির্দেশেই যুবলীগ নেতা আমিনুলকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। আমিনুল ইসলাম রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিবীর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিওতে) ভর্তি রয়েছেন। এখনও আমিনুল ইসলামে জ্ঞান ফেরেনি বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই লায়ন বাবুল।
এলাকাবাসীর আরো অভিযোগ, ডাকাত সর্দার হাবু ওই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি ও মানুষের জমি দখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। ডাকাত সর্দার হাবুর বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানা সহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, মাদক ও অস্ত্রসহ ২০টি মামলা রয়েছে।
সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ওই ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামি ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।