সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের বাড়িখালী এলাকায় ভূমিদস্যূদের দুই গ্রুপের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন। আগের দিনের ঘটনার পর ১৩ জুলাই সোমবার সকালেও এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বন্দর থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যান এবং কাজ নিয়ে কোন প্রকার অরাজকতা পুণরায় যাতে না হয় সেজন্য নির্দেশনা দেয় পুলিশ। বন্দর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আবু হানিফ ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ শামীম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পৃথকভাবে ঘটনাস্থলে যান।
আগের দিন ১২ জুলাই রবিবার সকালে বন্দরে বহিরাগত লোকবল নিয়ে নির্মাণাধীন দেয়াল ভেঙ্গে ও শ্রমিকদের মারধর পূর্বক কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কাউসার গং। এমনকি পুণরায় কাজে হাত দিলে জনপ্রতিনিধি মিজানুর রহমানকে প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগও পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন- এলাকায় দুই গ্রুপই জমিজমা দিয়ে ভূমিদস্যূতায় লিপ্ত।
দেয়াল ভেঙ্গে ও নির্মাণ শ্রমিকদের কাজের যন্ত্রপাতি নিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ্য করেন। কাউসার, রাজিব সহ বহিরাগত প্রায় ১০/১৫ জনের একটি সংঘবন্ধ চক্র বন্দর ইউনিয়নের বাড়িখালি (উলাক) এলাকায় ঘটেছে।
সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর ইউনিয়নের ৬ নং ওর্য়াডস্থ বাড়িখালি এলাকায় বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে কাউসার, রাজিবদের সাথে মোজাম্মেল হকদের সাথে। দীর্ঘ প্রায় ২ বছর যাবত এ বিরোধ চলছে। যা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান ও চেয়ারম্যান অফিসে সামাজিক বিচারাধীন রয়েছে।
ওই জায়গায় একই এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ কাজ করেছিল। ১২ জুলাই রবিবার সকাল ১০টার দিকে করিম মিয়ার ছেলে কাউসার, রাজিব, শান্তারাসহ বহিরাগত ১০/১৫ জন গিয়ে কাজ বন্ধ পূর্বক দেয়াল ভাংচুর করে।
এ সময় শ্রমিক মোঃ মমিন, মনির, শাওন, রমজান সহ ৮ জনকে পিটিয়ে আহত পূর্বক কাজের যন্ত্রপাতি ছিনিয়ে নিয়েছে। দেয়াল ভাংচুর ও যন্ত্রপাতি ছিনিয়ে নেয়ায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য করেছে।
মোজাম্মেল হক বাদীকৃত অভিযোগে আরো উল্লেখ্য করা হয় যে, হামলাকারীরা বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিমন্দ করে এবং পূণরায় হাত দিলে জীবন নাশের হুমকি দেয়।
বন্দর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মিজানুর রহমান মিজানকে ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় হামলাকারীরা। এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চললেও কোন প্রকার নিষেধাজ্ঞা না থাকায় মোজাম্মেল হক দেয়াল নির্মাণের কাজ করছে।
এর পূর্বেও কাউসাররা এমন ঘটনা ঘটালে বন্দর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ ঘটনাস্থলে যান ও নিষেধাজ্ঞা না থাকায় চলে আসেন এবং তাদের উত্তেজিত না হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসেন। ১২ জুলাইয়ের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।