সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩’শ শয্যা সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ’র জন্য ভেন্টিলেটর সহ চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচাল ও যমুনা ব্যাংকের পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা।
১৪ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের কাছে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেটর হস্তান্তর করেন গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা।
এ সময় ৩’শ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক গৌতম রায়, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর একান্ত সচিব এমদাদুল হক, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে গাজী পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক জাতির একজন শ্রেষ্ঠ সন্তান। করোনা ভাইরাসে সারা বাংলাদেশ যখন এলোমেলো অবস্থায় তখন আমাদের গাজী পিসিআর ল্যাব বিরাট সাপোর্ট দিয়েছে। আমরা দ্রুত রোগী শনাক্ত করতে পারছি। অনেক মানুষের অনেক টাকা আছে। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসে না। নিজের টাকায় গাজী পরিবার করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। আমাদের অনেক মেডিকেল সাপোর্ট দিয়েছে। তার জন্য গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পাসহ গাজী পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা অন্য যে কোনো জেলার তুলতায় ভালো আছি। কেউ উত্তেজিত হবেন না। আমাদের ডাক্তাররা প্রস্তুত আছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাই সহযোগিতা করছে। সেলিম ওসমান সাহেবও হেল্প করেছে।
সবাইকে মাস্ক পড়ার অনুরোধ জানিয়ে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, করোনা পরীক্ষার জন্য একটা সময় আমাদের ঢাকায় যেতে হতো। প্রধানমন্ত্রীর নিদেশনায় আমার বাবা গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়। প্রথম আমরা বেসরকারি করোনা পরীক্ষা ল্যাব রূপগঞ্জে স্থাপন করেছি। গাজী পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জানানোর চেষ্টা করছি। সবাই মাস্ক পড়বেন । মাস্ক পড়লে ৯০ ভাগ করোনা আক্রান্ত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্বে ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউর সমস্যা রয়েছে। তারপরও আমরা অনেক চেষ্টা করে ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।