সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ‘টাকা বিনিময়ে কমিটি মানবো না’ শ্লোগান তুলে ত্যাগী নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে ছাত্রদলের কমিটির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নেতাকর্মীরা। তবে ওই মানববন্ধনের পর বিএনপির একজন শীর্ষ নেতার ইশারায় ছাত্রদলের তিন কর্মীকে ফ্লাইওভারের নিচে দড়ি দিয়ে বেধে মারধর করা হয়েছে। রূপগঞ্জের বিএনপির একজন ধনকুবের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি- রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে অযোগ্য লোকদের স্থান দেয়ার গুঞ্জনে ফুঁসে ওঠেছেন স্থানীয় ত্যাগী ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। তাই ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়নের দাবিতে ১৫ জুলাই বুধবার সকালে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা ফ্লাইওভার এলাকায় মানববন্ধন করেছেন তারা।
এ সময় মানববন্ধনে অংশ নিয়ে স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রায় ২৪ বছর পর জেলা ছাত্রদল রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল কমিটির অনুমোদন দিতে যাচ্ছে। আর সেই কমিটিতে প্রভাব খাটাচ্ছেন স্থানীয় বিএনপির বেশকজন প্রভাবশালী নেতা। মানববন্ধনে ব্যানারে লেখা ছিল ‘ টাকার বিনিময়ে কমিটি মানবো না’ সহ নানা ধরণের শ্লোগান।
মানববন্ধনে আবু মোহাম্মদ মাসুমের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রদল নেতা আজিম সরকার, সুলতান মাহমুদ, মাসুদুর রহমান, ওমর ফারুক আপন, মেহেদি হাসান রিপন, আনিসুর রহমান শরীফ, জাহিদুল ইসলাম সোহাগ, কাজী শামিম, সজল মিয়া, শাহাদাত হোসেন ও সুমন বেপারি প্রমূখ।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে জানাগেছে, ১৫ জুলাই বুধবার ওই মানববন্ধন শেষে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বাবু, আলামিন হোসাইন ও বিজয় হোসাইনকে ব্রীজের নিচে দড়ি দিয়ে বেধে নির্যাতন করে। বিএনপি নেতা দিপু ভুঁইয়ার ইন্ধনেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর এমন অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়। একই দিন ছাত্রদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুমের বাড়িতে হামলা ভাংচুর চালায় সন্ত্রাসীরা।
এদিকে এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। একইভাবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার ছাত্রদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম ছাত্রদলের ওই তিন নেতাকে বেধে রাখার ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে দিপু ভুঁইয়াকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন, ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে এই ছবিটার চিত্রনাট্য লিখেছেন নিজ দলের এক ধনকুবের! যা সম্পূর্ণ পরিস্কারভাবে প্রস্ফুটিত হয়ে গেছে। মুখোশের উপরিভাগে ছিল সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ। যাদের নাম শুনলে আগ থেকেই ঘৃনায় মুুখ ঘুরিয়ৈ নেন মানুুষজন।’ আবু মাসুমের এমন পোস্টে ছাত্রদলের বেশকজন নেতাকর্মী ভূঁইয়াকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে মন্তব্য করেছেন। সেই সঙ্গে দিপু ভুঁইয়াকে এর জবাব ভবিষৎে দিতে হবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন।
এর আগে দিপু ভুঁইয়াকে ইঙ্গিত করেই আবু মাসুম লিখেছেন, মন খারাপের সময় কাহারো অনুকম্পা ভাল লাগেনা, শুধু শিখতে চাই, ধন্যবাদ ভূঁইয়া সাহেব।’ পরবর্তীতে আবারও লিখেছেন, ‘প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর বিএনপি-রুপী দালালদের টনক নড়ছে! খেলা শেষ বৃথা চেষ্টা কইরা লাভ নাই। আমজনতার কাছে সব পরিষ্কার।’