সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ বন্দরের হাজীপুর এলাকায় গৃহবধু মুন্নীর মৃত্যুর ঘটনার এক মাস পর মরহুমার স্ব্রামী কাইয়ুম ও ভাসুর আমিনুুল হককে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়- স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচার সইতে না পেরে গৃহবধূ মুন্নী ইসলামের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মুন্নীর বড় ভাই রাজু আহম্মেদ বাদী হয়ে মুন্নীর স্বামী কাইয়ুম ও ভাসুর আমিনুল হককে আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বন্দর থানাধীন পূর্ব হাজীপুর গ্রামের নূর ইসলাম মিয়ার কণ্যা মুন্নী ইসলামকে বিগত ১৩বছর পূর্বে একই এলাকার মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে কাইয়ুমের সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরই গৃহবধূ মুন্নীর সন্তান না হওয়ায় কাইয়ূমের বোন, রাশিদা, আমেনা, শিরিন এবং ভাই আমিনুল হক ও ভাবী শাহনাজ বেগম প্রতিনিয়তই অত্যাচার করে আসছিল।
গৃহবধূ’র রেজিষ্ট্রিকৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক লিখে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতো। এমনকি উল্লেখিতরা মুন্নীকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে তাকে ‘‘মরতে পারিস না’’ তুই মরলে আমরা শান্তি পেতাম ইত্যাদি কটুক্তি করতো। অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে গত ২০ জুন সকাল ১১টায় স্বামীর ঘরের দ্বিতল ভবনের নিচতলার কক্ষের সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে পাটের রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। মুন্নীর মা খোদেজা বেগম মোবাইল ফোনে কল দিয়ে মেয়েকে না পেয়ে লোকমুখে শুনতে পেরে মেয়ের শ্বশুরালয়ে এসে মেয়ের লাশ ঝুলন্ত দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।