সান নারায়ণঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল জোর করে জেলা যুবদলের আওতাধীন এলাকা বন্দরের ৫টি ইউনিয়নে খবরদারি করেছিল যার নেতৃত্বে ছিলেন মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। ওই এলাকায় কমিটিও দিয়েছিলেন খোরশেদ। এবার সেই এলাকাগুলো জেলা যুবদলের আওতাধীন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদল।
এই ঘটনায় বন্দরে যুবদলের নেতাকর্মীরা শোকরানা দোয়া মাহফিল করেছেন। এসব নেতাকর্মীরাই খোরশেদের স্বাক্ষরিত কমিটির নেতৃত্বে এসেছিলেন। অথচ তারাই এখন দাবি করছেন রাহুমুক্ত হয়েছে বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন। যে কারনে তারা শোকরানা দোয়া মাহফিল করে খোরশেদের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা ও ঘৃণা প্রকাশ করলো।
জানাগেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন এলাকাকে জেলা যুবদলের সাথে অন্তর্ভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করায় বন্দর উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে শোকরানা দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৫ জুলাই শনিবার সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলাধীন মদনপুর ইউনিয়ন যুবদলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ সময়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সু-স্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।
এ সময়ে বন্দর উপজেলা যুবদলকে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাথে অন্তর্ভুক্ত ঘোষণা করায় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে উপজেলা যুবদল।
সেই সাথে আগামীতে বন্দর উপজেলা যুবদলকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে সিনিয়র জুনিয়রদের সমন্বয়ে উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন করে নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে একটি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী উপজেলা যুবদল কমিটি করতে পারি তার জন্য জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ প্রত্যাশা করেন উপজেলা যুবদলের নেতা-কর্মীরা।
বন্দর উপজেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনুর সভাপতিত্বে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমেদ, বন্দর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রিপন, জেলার ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হক, বন্দর উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বাবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইব্রাহীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব খন্দকার, উপজেলা যুবদল নেতা সম্রাট হাসান সুজন, ধামগড় ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হানিফ, মুছাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সম্পাদক আঃ হালিম, যুবদল নেতা বাবুল, নুর মোহাম্মদ, আপন, আরিফ, কাজল, আল মামুন, আফজাল, মোক্তার প্রমূখ।
এখানে উল্লেখ্যযে, এই কমিটির নেতারাই এক সময় খোরশেদের নেতৃত্বে যুবদলের রাজনীতি করেছেন। অনেকেই খোরশেদের হাতে যুবদলের রাজনীতিতে হাতেখড়ি। বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে বন্দর উপজেলা যুবদলের কমিটি করেছিলেন খোরশেদ। যে কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম রিপন ও যুগ্ম সম্পাদক শাহিন আহম্মেদ। পরবর্তীতে এই কমিটি বিলুপ্ত না করেই গত বছরের ৬ জুলাই নজরুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও শাহাদুল্লাহ মুকুলকে সদস্য সচিব করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেন খোরশেদ। কমিটি ১২ ঘন্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয়ভাবে স্থগিত করা হয়।