সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন করে নদী পাড়ের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই বাড়তে থাকা শীতলক্ষ্যার পানি । একই সাথে বেড়েছে ধলেশ্বরী নদীর পানি। এতে সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন কাশীপুর, এনায়েতনগর, বক্তাবলী ও আলীরটেকের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
৭ আগস্ট শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শীতলক্ষ্যা নদী তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট সংলগ্ন বন্দর বাজারে পানি প্রবেশ করেছে, ডুবেছে দোকানপাট এবং নদী পারাপারের জেটি। পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে মানুষজন।
সদর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্ব গোপালনগর ও প্রতাপনগরের ২০০ পরিবার, কাশীপুর ইউনিয়নের উত্তর নরসিংপুরের ২৫০ পরিবার, আলীরটেক ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক পরিবার এবং এনায়েতনগর ইউনিয়নের ধর্মগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার প্রায় ৪৫০ পরিবার পানিবন্দী। বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরীর পানি অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার রাত ৮টার পর থেকে নদীর পানি অত্যাধিক মাত্রায় বাড়া শুরু করে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
প্লাবিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক।
নাহিদা বারিক বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীর পানির বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীবেষ্টিত চারটি ইউনিয়নের কয়েক শ বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শুক্রবার (৭ আগস্ট) পানিবন্দি ৫৫ পরিবারের প্রত্যোককে ৫ কেজি কের চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরো বলেন, ‘বুধবার রাত ৮টা থেকে পানি অত্যাধিক মাত্রায় বাড়তে শুরু করে। স্থানীয় সরকারি স্কুলগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে মানুষজন নিজের বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার ব্যাপারে তেমন উৎসাহী নয়।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন জানান, সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে কয়েকটি টিনের ঘর ভাঙনের শিকার হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকাগুলো পরিদর্শন করে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।