লেবাননে বিস্ফোরণে নিহতে রাশেদের শোকাহত পরিবারের পাশে ইউএনও নাহিদা বারিক

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত রাশেদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নন্দলালপুর বিসমিল্লাহ বেকারী মসজিদ গলি এলাকায়। নিহতের বাড়িতে চলছে কান্নার আহাজারি ও শোকের মাতম।

এমন সময় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক নিহতের বাড়ি হাজির হয়ে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম সেন্টু।

১০ আগস্ট সোমবার বিকেলে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত রাশেদের পরিবারের খোঁজ খবর নিতে এসে ইউএনও নাহিদা বারিক এ আশ্বাস দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক ও চেয়ারম্যান সেন্টু নিহত রাশেদের মা লুৎফার নেছাকে শান্তনা দেন। এ সময় নিহতের মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমাদের এই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল আমার ছেলে রাশেদ। বিদেশে কাজ করে আমাদের সংসার চালাইতো। এখন শুনতাছি আমার ছেলে মইরা গেছে। আমি আমার ছেলেকে শেষ দেখা দেখতে চাই। আপনাদের কাছে আমার একটা অনুরোধ আমার ছেলের লাশ আমাদের কাছে আইন্না দেন।

নিহত রাশেদের মা লুৎফার নেছার কথা শোনার পর ইউএনও নাহিদা বারিক বলেন, আপনার ছেলের লাশ দেশে আনার জন্য আমরা সকল প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছি। যত তারাতাড়ি সম্ভব আপনার ছেলের লাশ আমরা আপনাদের কাছে এনে দিব। আর আপনাদের পরিবারের পাশে আমরা আছি। আপনাদের যেকোনো সমস্যা আমাদের জানাবেন আমরা সেটা সমাধান করবো।

এ সময় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম সেন্টুও বলেন, আপনাদের যেনো কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য আমরা খোঁজ খবর নিতে এসেছি। আমাদের মোবাইল নাম্বারগুলো দিয়ে গেলাম। আপনাদের যেকোনো সমস্যা আমাদের জানাবেন আমরা ব্যবস্থা নিব।

নিহত রাশেদের পরিবারের আছেন মা লুৎফর নেছা ও এক ভাই দুই বোন। উল্লেখ্য, রৈরুতে গত ৪ আগস্ট ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্যসহ ১০৮ প্রবাসি আহত হন। এই বিস্ফোরনে মারা গেছেন পাঁচ বাংলাদেশী।