সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় জোনায়েদ ভুঁইয়া প্রিন্স অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। একই সঙ্গে জামিন পেয়েছেন শান্ত ও জুবায়ের হোসেন। জামিনের খবরে হাইজাদী ইউনিয়নবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালত আসামিদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এতে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা তুমুল বিরোধীতা করেন এবং বিবাদী পক্ষ আসামিদের পক্ষে যথাযথ যুক্তি উত্থাপন করলে আদালত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
জামিনের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন আসামি পক্ষে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল হক সুমন। তিনি হাইজাদী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তিন আসামির জামিনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান, আপ্যায়ণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল, সমিতির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা সহ আরও বেশকজন।
অন্যদিকে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী নুরে আলম ভুঁইয়ার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মামুন মাহামুদ মিয়া। তিনি জানান বাদী পক্ষে শুনানিতে আরো সহযোগীতায় ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা সহ আরও বেশকজন আইনজীবী।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, গত ৫আগস্ট নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বুধবার স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আওয়ামীলীগ নেতা জোনায়েদ ভুঁইয়া প্রিন্স সহ ৬জনকে আটক করে।
অপরদিকে হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলী হোসেন ভুঁইয়া গ্রুপের আশিক ও আসিব নামে দুই যুবককেও আটক করা হয়েছিল। হাইজাদী ইউনিয়নের ভল্লবদী এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছিল।
এ ঘ্টনায় ৬ আগস্ট হাইজাদী ইউনিয়নের বল্লভদী এলাকার মৃত ফসির মেম্বারের ছেলে মোহাম্মদ নূরে আলম ভুঁইয়া বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্ল্যেখ সহ আরও ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী জোনায়েদ ভুঁইয়া প্রিন্স, তার ভাই শান্ত ও জুবায়ের হোসেন সহ ২২ জন। এই তিন আসামি জামিন পেয়েছেন।
প্রিন্স হলেন প্রবীণ জনপ্রিয় আওয়ামীলীগ নেতা হাইজাদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের সন্তান। জোনায়েদ ভুঁইয়া প্রিন্স হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী। স্থানীয়রা বলছেন- ইতিমধ্যে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন প্রিন্স। যে কারনে বর্তমান চেয়ারম্যান আলী হোসেন ভুঁইয়া বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। যে কারনে প্রিন্সকে বিতর্কিত করতেই এমন ঘটনার সৃষ্টি করেছেন।
এদিকে জামিনের পর হাইজাদী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের ভাষ্য- আদালতে আলী হোসেন ভুঁইয়া গ্রুপের পক্ষে বিএনপির আইনজীবীরা আইনি লড়াই চালিয়েছেন। বাদী নূরে আলম ভুঁইয়ার মামলায় পক্ষে আইনি লড়াইয়ে ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মামুন মাহামুদ মিয়া, বিএনপির জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভুঁইয়া ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লার মত আইনজীবীরা। এতেই প্রমাণিত হয়েছে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তাদের পক্ষে নাই। সেখানে আওয়ামীলীগ নেতা জোনায়েদ ভুঁইয়া প্রিন্সের পক্ষে আওয়ামীলীগের আইনজীবীরাই ছিলেন।