সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলংকজনক এক অধ্যায় উল্লেখ্য করে আড়াইহাজার পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম জাকির বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনেই জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধীরা।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। উনি পাকিস্তানে আটক ছিলেন। তখন কিন্তু তাঁকে হত্যা করা হয়নি। তিনি যেই দেশটাকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, যিনি দেশের জন্য তাঁর জীবন যৌবন সব ত্যাগ করলেন, যেই বাঙালিদের তিনি ভালোবেসেছেন, সেই বাঙালিরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। যেটা সত্যিই আমাদের জন্য কলঙ্কময় এক অধ্যায়।
জাকির বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় বাঙালিদের ভালোবেসেছেন। এটা তাঁর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল। বঙ্গবন্ধুকে কিন্তু অনেক গোয়েন্দা সংস্থাই জানিয়েছিলেন,‘তাঁকে মারার ষড়যন্ত্র হচ্ছে’। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বাঙালিদের প্রতি তাঁর দেশের মানুষের প্রতি বিশ্বাস ছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার জনগণ আমাকে কোনোদিন হত্যা করতে পারে না।’ তাঁর এই বিশ্বাসের জন্যই বাংলাদেশের পরাজিত শক্তিরা বঙ্গবন্ধুকে মারার সুযোগ পেয়েছিল।
সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা আরোও বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো বহিঃবিশ্বের সাথে আপোস করেননি। তিনি তাঁর মতো করে দেশটাকে সাজাতে চেয়েছিলেন। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র কিন্তু ভারতের সাথে তিনি কিন্তু কখনও আপস করেননি।
বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার এখনও সম্পন্ন হয়নি বলে দাবি করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে পলাতক আসামিদের এখনও ফেরত আনা হয়নি। তাদেরকে ফেরত আনা প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া আরেকটি বিষয় হল, যারা এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তাদের বিচার কিন্তু করা হয়নি। তাদেরকেও বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। হতে পারে তারা বেঁচে নেই, কিন্তু মরণাত্মক বিচারের একটি ব্যাপার কিন্তু থেকেই যায়।
ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই ছাত্রলীগ ৫২ হতে ৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখনও ঐতিহাসিক এই সংগঠন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেই আগামীর পথে এগিয়ে চলেছে।
১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ছাত্রলীগ গঠন করে তিনি সারা বাংলার ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে ছিলেন। এরপর ৫২’র ভাষা আন্দোলন হতে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তাঁর নেতৃত্বেই বাংলার ছাত্রসমাজ সংগঠিতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
এখনও ঐতিহাসিক ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আগামীর পথে এগিয়ে চলেছে। এই ছাত্রলীগ এখনও ছাত্রসমাজের দাবি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমকা পালন করছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ১৫ই আগস্ট আমাদের জন্য যেমন শিক্ষা তেমন চেতনাও। এই দিনটির রাজনৈতিক শিক্ষাকে গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর চেতনায় ছাত্রলীগকে আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।