সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আইনজীবী না হয়েও নারায়ণগঞ্জের আইনজীবী সমাজের মধ্যমণি এখন নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের দানবীর এমপি একেএম সেলিম ওসমান। নারায়ণগঞ্জের ১২’শ আইনজীবীর কল্যাণে তিনি যে অবদান রেখেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। সেলিম ওসমানের এমন অবদানের সঙ্গে সরাসরি ভুমিকা রাখায় আইনজীবী সমাজে ব্যাপক প্রশংসায় ভাসছেন তরুণ প্রজন্মের তিন আইনজীবী নেতা। আইনজীবী সমিতিকে ডিজিটাইলেশন থেকে শুরু করে সমিতির যাবতীয় কার্যক্রমে তারা এনেছেন ভিন্নতা। প্রতিটি কাজে এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোয়া।
সেই তিন আইনজীবী নেতা হলেন আইনজীবী সমিতির টানা দুইবারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান। এর আগে বিভিন্ন পদে নেতৃত্ব দেয়া ছাড়াও টানা দুইবার সেক্রেটারি এবং পরবর্তীতে টানা দুইবারের সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল। ওই সময় থেকে সমিতির টানা দুইবারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সঙ্গে টানা দুইবারের সেক্রেটারি মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া যিনি বর্তমানে সভাপতি। এদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন টানা দুইবারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান যিনি বর্তমানে সমিতির সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এসব নেতাদের নেতৃত্বে থাকা পরিষদের অনুষ্ঠিত কোন বার্ষিক সাধারণ সভায় তাদের সততা নিষ্ঠা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেননি। সমিতির বিভিন্ন ফান্ডের একটি পয়সা পর্যন্ত হিসেব রাখতেন তারা। যে কারনে তাদের রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ থাকলেও তাদের সততা নিয়ে একটি প্রশ্নও কোনদিন তুলতে পারেননি। তারা এমনভাবে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করেন যার নিয়ম কানুন সকলের জন্য সমান।
তবে এই তিন আইনজীবী নেতা নেতৃত্বে আসতে এবং নেতৃত্বে আসার পর সমিতির কল্যাণমুলক কর্মকান্ডে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। কিন্তু সেই বাধা অতিক্রম করে আইনজীবীদের কল্যাণে কাজ করে আসছেন। বর্তমানে সমিতির নেতৃত্বে না থাকলেও সমিতির বর্তমান কার্যকরী পরিষদের পেছনে ছায়া হয়ে উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন হাসান ফেরদৌস জুয়েল। বর্তমান সভাপতি ও সেক্রেটারি যেকোন বিষয়ে তাকে পাশে পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে সোহার্দ্যপূর্ণ সুসম্পর্কের কারনে সমিতির উন্নয়নগতি অব্যাহত রয়েছে আরো এগিয়ে।
এই তিন আইনজীবী নেতার প্রশংসনীয় ভুমিকায় এমপি সেলিম ওসমানের প্রশংসা আরো বাড়ছে আদালতপাড়ায়। কারন তারা আইনজীবীদের যেমন আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন তেমনি সেলিম ওসমানের আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন। এদের পেছনে থেকে আবারো সমিতির আইনগত জটিলতা ও সমস্যা নিরসনে কঠোর ভুমিকা রেখে চলেছেন নারায়ণগঞ্জের আরেক প্রভাবশালী উন্নয়নমুখী নেতা এমপি একেএম শামীম ওসমান। এদের সঙ্গে আইনজীবী সমাজের উন্নয়নে ভুমিকা রাখছেন বিকেএমইএ, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ ও নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরাও। সেই সঙ্গে এই তিন আইনজীবী নেতার মেয়াদকালে নেতৃত্বে থাকা কার্যকরী পরিষদের অন্যান্য সদস্যের ভুমিকাও রয়েছে বেশ জোরালো।
আইনজীবীরা বলছেন- আইনজীবী সমিতির পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলার সময় অনেক সিনিয়র আইনজীবী নেতা বিরোধীতা করেছিলেন। বিরোধী দলের কিছু নেতাও সেই ভবন ভাঙ্গতে দেননি। কেউ কেউ বলেছিলেন রক্ত দিয়ে হলেও পুুরাতন ভবনটি ভাঙ্গতে দিবেন না। কেউ কেউ বলতেন এদের হাতে সেলিম ওসমান ডিজিটাল ভবন নির্মাণের অর্থ তুলে দিবেন না। নতুন ভবনটি হবেনা। বাধা বিপত্তির পরেও ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। ভবনটি ভাঙ্গার পর আইনজীবীদের সাময়িক অসুবিধাটি নিয়ে অনেকেই রাজনীতি করেছিলেন। কেউ কেউ বলেছিলেন আইনজীবীদের রোহিঙ্গা বানিয়ে দিয়েছেন জুয়েল মোহসীন। এসব কাজে যারা এক সময় বিরোধীতা করেছিলেন আজকে ভবনটি নির্মাণ করে সফলতা পাওয়ায় তারাও প্রশংসা করছেন। এখন সমিতির ভবনের নিচ তলায় দলমত নির্বিশেষেই বসছেন এবং সম্মানজনকভাবে পেশা পরিচালনা করছেন। সকলে উৎসমুখর পরিবেশে আইনজীবী সমিতির নিচ তলায় অবস্থান নিচ্ছেন এবং কাজ করছেন। সেখানে বিচারপ্রার্থীরাও ভবনটি দেখে প্রশংসা করছেন। কারন দেশের কোন জেলায় এ রকম ভবন রয়েছে কিনা তা জানা নেই। ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণ করায় আইনজীবীদের পেশাগত মর্যাদা বেড়েছে বলেও মনে করছেন আইনজীবীরা। কারন পেশা পরিচালনায় সম্মানজনক একটি স্থান নির্মাণ করা হলো।
পেছনে ফিরে আইনজীবীরা বলছেন- আজকে বেনাভোলেন্ড ফান্ডের বিষয়টিও ব্যাপক প্রশংসিত। এই ফান্ড তৈরি করতে গিয়ে অনেক বাধায় পড়েছিলেন জুয়েল। নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাসান ফেরদৌস জুয়েলের হাত থেকে মাইক কেড়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। আইনজীবীদের সমর্থন নিয়ে সেই ফান্ড তিনি তৈরি করেছেন। আজকে আইনজীবী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ফান্ডের আওতাভুক্ত হতে সবাই আগ্রহী। আরও বেশকটি কল্যাণকর কাজ তারা করেছেন। জুয়েল মোহসীনের আমলে এসব কারনে তারা আইনজীবীদের কাছে ডায়নামিক আইনজীবী নেতা হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছিলেন।
এদিকে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ১২’শ আইনজীবীর কল্যাণে নির্মিত হলো ডিজিটাল বার ভবনটি। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের দানবীর সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের একক অর্থায়নে এই ভবনটি নির্মিত হয়েছে। অনেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও এখন পর্যন্ত একটি ফুটো পয়সা দিয়েও সহায়তা করেননি। উল্টো সেলিম ওসমানের ঘোষিত অর্থের চেয়ে বেশি দিয়েছেন এবং এও বলেছেন আরও তিনি সহযোগীতা করবেন। যে কারনে নারায়ণগঞ্জের অন্তত সাধারণ আইনজীবীরা সেলিম ওসমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।
গত ৩০ জুলাই ডিজিটাল বার ভবনটি উদ্বোধন করেন এমপি একেএম সেলিম ওসমান। উদ্বোধনের পর ৫ আগস্ট বুধবার থেকে পূর্ণাঙ্গ কোর্ট চালু করা হয়। এদিন সকল আইনজীবীরা অবস্থান নেন ডিজিটাল বার ভবনের নিচ তলায়। উন্নতমানের এই ভবনটিতে অবস্থান করে এখন সকল আইনজীবীরাই প্রশংসা করছেন।
ভবনটি পুরোপুরি নির্মাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত সাময়িকভাবে আইনজীবীদের আইন পেশা পরিচালনার জন্য ভবনটির নিচতলার কাজ সম্পন্ন করা হয়। নবনির্মিত ডিজিটাল বার ভবনের নিচ তলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমপি একেএম সেলিম ওসমান।
ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমপি সেলিম ওসমানের প্রতি সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে ভবনটি নির্মাণে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করেছেন তাদের প্রতিও তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিপুল সংখ্যক আইনজীবীদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সমিতির বর্তমান সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান। দলমত নির্বিশেষে আইনজীবীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। একই সঙ্গে আইনজীবী সমিতির গত কয়েক বছরের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি একেএম সেলিম ওসমান।