সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায়। মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টিই আবার বিরোধী দল। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টি একাকার। কারন জেলার ৫টি আসনের মধ্যে দুটি আসনে রয়েছেন জাতীয় পার্টির এমপি। ক্ষমতার সুযোগে দলের পক্ষে কাজ করার চেয়ে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির কিছু কিছু নেতা নিজেদের পকেট গুছানোর রাজনীতি করছেন। বৈধ ও অবৈধভাবে যে যেভাবে পাড়ছে সেভাবেই নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন। আগের মত মাঠের রাজনীতিতে কিংবা দলীয় কর্মসূচিগুলোতে জোড়ালো অংশগ্রহণ দেখা যায় না।
বিভিন্ন সূত্র থেকে- নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭টি থানা এলাকায় জাতীয় পার্টির কোন অফিসই নেই। এমনকি জেলা জাতীয়পার্টিরও কোন নিজস্ব অফিস নেই। জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যালয় ছাড়া অন্যান্য থানা এলাকায় আওয়ামীলীগের অফিসও ঝরাজীর্ণ। কোন কোন থানায় আওয়ামীলীগের ভাল একটি কার্যালয়ই নেই। আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যালয়ের অস্তিত্ব পাওয়াও কঠিন।
মহামারি করোনাকালেও আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির কমিটির নেতাদের মধ্যে অসহায় দিনমজুুর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে কম নেতাদেরকেই দেখা গেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে ও স্থানীয় এমপিরা যার যার অবস্থান থেকে জোড়ালোভাবে কাজ করেছেন। যেখানে নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমান ও এমপি একেএম সেলিম ওসমান করোনার চিকিৎসার জন্য জোড়ালো ভুমিকা রেখেছেন এবং নিজেদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মানুষের মাঝে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন বেশ শক্তভাবে। কিন্তু আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির কমিটির নেতারা করোনায় জোড়ালো ভুমিকা রাখতে দেখা যায়নি।
অনেকেই জানিয়েছেন- দলের সুনাম বাড়াতে কিংবা সরকারের সুনাম বাড়ানোর চেয়ে দলের বদনাম করছেন কিছু কিছু নেতা। সরকারের অবদানগুলো তুলে ধরার চেয়ে নিজেদের জাহির করছেন কেউ কেউ। কেউ কেউ বালু সন্ত্রাসী, ভুমিদস্যূতায় লিপ্ত রয়েছে। কেউ কেউ টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজিতে রয়েছে সক্রিয়। কেউ কেউ ঝুট সন্ত্রাসীতেও রয়েছে। নদী বেষ্টিত নারায়ণগঞ্জ জেলার নদীর পাড়ের দিকে এসব নেতাদের নজর। রয়েছে শিল্পাঞ্চলেও সক্রিয়। কেউ কেউ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। অনেকে দেশের বাহিরেও ব্যবসা বানিজ্য ও বাড়িঘর করেছেন। এসব ছাড়াও হাট ঘাট মাঠ, পরিবহন সেক্টর, পরিবহন স্টান্ড থেকে চাঁদাবাজিও রয়েছেই। আবার কেউ কেউ অলিগলির মাদক স্পটের নিয়ন্ত্রকও রয়েছেন।
এসব ছাড়াও নেতাকর্মীদের কেউ কেউ বলেছেন- এরি মাঝে সরকারি দলে ঢুকে গেছে সুবিধাবাদী সুযোগ সন্ধানী হাইব্রিড কাউয়া মার্কারাও। এদের ধাক্কায় রাজপথের ত্যাগী নেতারাও দল ছাড়ার দশা। ত্যাগীদের বাদ দিয়ে সুবিধাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে দেয়া হচ্ছে বৈধ সেক্টরগুলোর নিয়ন্ত্রণও। ফলে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির কিছু কিছু নেতা দলের পক্ষে, দেশের পক্ষে, জনগণের পক্ষে কাজ করার চেয়ে নিজেদের পকেট ভারি করার রাজনীতি করছেন।