সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির রাজনৈতিক কোন কর্মকান্ডে তিনি থাকেন না। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পূর্বে মহানগর বিএনপির বেশকজন নেতার সঙ্গে দুএকটি কর্মসূচিতে এসেছিলেন। এর আগে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে রয়েছেন কিনা সেই উত্তর নেতাকর্মীরাও দিতে পারেননি।
বর্তমানে তিনি পুরোদমেই সরকারি দলের হয়ে কাজ করছেন। ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিএনপির ৪২তম প্র্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তিনি কেক কেটে পালন করেছেন। তার কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে কেক কাটেন তিনি। যার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এর একদিন আগেও স্থানীয় সরকার দলীয় একজন এমপি শওকত হাশেম শকুর প্রশংসা করেছেন যা মিডিয়াতে প্রকাশ পায়। বিস্ময়ের বিষয় তিনি মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সরাসরি মহাজোটের প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে কাজ করেন। এমনকি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী অভিযোগ করেছিলেন কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু অস্ত্র ঠেকিয়ে নির্বাচন থেকে সেরে যেতে হুমকি দিয়েছিলেন। যদিও বিষয়টি সেই সময় শকু অস্বীকার করেছিলেন। তবে তিনি দলের বাহিরে গিয়ে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।
তবে নারায়ণগঞ্জের বেশকটি অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সঙ্গে থেকেও আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির রাজনীতি করা যায়। আবার সরকারি দলের হয়ে কাজ করলেও বিএনপিতে পদ পাওয়া যায়।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বর্তমানে এমপি সেলিম ওসমানের প্রথম নির্বাচিত হওয়ার ৪ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে শওকত হাশেম শকু লোকজন নিয়ে উপস্থিত হোন। দীর্ঘদিন যাবত তিনি সরকারি দলের হয়েই কাজ করছেন। বিএনপির কোন কার্যক্রমে তাকে দেখা যায়না। করোনাকালীন সময়েও তিনি এমপি সেলিম ওসমানের দেয়া অনুদান ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। সরকারি দলের হয়ে কাজ করলেও শকুকে করা হয়েছিল মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তার সহধর্মিনী দিপা হাশেমকেও সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক করা হয়। তবে হটাত করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে