সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের মারধর ও হামলা চালিয়ে আহত করার ঘটনায় ওই ধর্ষণের ঘটনার বাদীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেছেন পুলিশ। মামলা গ্রহণ করায় ওই ধর্ষণ মামলার বাদী এসে জেলা পুলিশ সুপারের বরাবর আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এই বিষয়টিকে অযৌক্তিক ও মিথ্যা দাবি করেছেন ওসি। কারন ধর্ষণ মামলার বাদী পক্ষের হামলায় নারী সহ বেশকজন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। ফলে এই ঘটনায় মামলা গ্রহণ করতে হবেই।
জানাগেছে, একটি ধর্ষণ মামলার বাদির বিরুদ্ধে হামলা ও মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা নেয়ায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম-এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাজানো একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে উল্টো ওই ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে। ৩রা সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সামছুল নামে ধর্ষণ মামলার এই অভিযোগ করেন।
তবে ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অপরাধী যে-ই হোক না কেন। অপরাধ করলেতো মামলা নিতেই হবে। আইনতো সবার জন্যই সমান। তবে অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও সাজানো। ধর্ষণের মামলায় সেটা বিচারাধীন। এরি মাঝে কেউ যদি আরেকটি অপরাধজনক ঘটনার সৃষ্টি করে তাহলে তো মামলা হবেই।
এদিকে সামছুল অভিযোগে উল্লেখ করেছেন- চলতি বছরের ৩রা মে সন্ধ্যায় হাজীরটেক এলাকার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া (১০) অভিযোগকারীর মেয়েকে মুদি দোকানদার আলাউদ্দিন (৩৫) ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়। মামলা নং- ৪ (৫) ২০২০ইং।
অভিযোগটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্ষণ মামলার বাদি সামছুলের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মিথ্যা মামলা নিয়েছেন।
অপরদিকে ধর্ষণ মামলার বাদির বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধর্ষণ মামলার বাদি সামছুলের নেতৃত্বে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিনের মুদি দোকানে হামলা চালানো হয়।
এ সময় দোকানের ভিতরে থাকা আলাউদ্দিনের স্ত্রী জিয়াছমিন (৩০) ও তার মা আমেনা (৬৫) কে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে আমেনাকে দা দিয়ে কোপানো হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সেদিনের হামলায় অংশ নেন হাজীরটেক এলাকার মৃত আব্দল হামিদের ছেলে ইসলাম (৩৮), মৃত আনসর আলীর ছেলে কাজম আলী (৫০), মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে ইমানউদ্দিন (৩৩) ও সামছুল হক (৪৩)।
এ ঘটনায় চার জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলা নং- ১ (৯) ২০২০ইং।
এদিকে শাহাবুদ্দীন মোবাইল ফোনে বলেন, আমার মা আমেনা বেগমের মাথায় দা দিয়ে কোপানো হয়েছিল। এতে তার মাথায় ৬টি সেলাই হয়েছে। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে সামছুল সহ আরও কয়েক জনের নামে একটি মামলা করেছি।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলার বাদি ও তার লোকজন মামলার বিবাদী পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমেনা নামে এক নারীকে দা দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এতে তার মাথায় ৬টি সেলাই হয়েছে। এ ঘটনায় তার ছেলে শাহাবুদ্দীন বাদি হয়ে একটি মামলা করেন।