সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে একটি ৯ বছরের শিশু অপহরণের পর ব্যাপক অভিযান চালিয়ে র্যাব-১১ এর একটি টিম ওই অপহৃতা শিশুকে উদ্ধার সহ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২ সেপ্টেম্বর বুধবার এক নারী র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ বরাবর একটি অভিযোগ করেন যে, গত ১ সেপ্টেম্বর এক ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় তাদের ভাড়া বাড়ির সামনে হতে তার ৯ বছর বয়সী শিশু কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মোবাইল ফোনে অপহরণকারী তার মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার কাছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ কর্তৃক গোয়েন্দা নজরদারী ও গোপন অনুসন্ধান শুরু করে।
র্যাব আরও জানায়, র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ঢাকা জেলার যাত্রাবাড়ী থানাধীন আইডিয়াল স্কুলের গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোঃ ওয়াসিম (৩২) নামক এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে হাত-পা বাধা অবস্থায় ভিকটিম শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার চতরংখলা এলাকার মোঃ ফজলুল হকের ছেলে।
র্যাব জানায়, ভিকটিম শিশু কন্যার মা একজন কারখানা শ্রমিক। তার কর্মস্থলে আসা যাওয়ার পথে ২ মাস পূর্বে অপহরণকারী মোঃ ওয়াসিমের সাথে পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের সূত্র ধরে অপহরণকারী কৌশলে ওই নারীর ভাড়া বাসা চিনে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা নাইট ডিউটিতে থাকা অবস্থায় ফাঁকা বাসার সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৭টায় আসামী ভিকটিম শিশু কন্যাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং ঢাকাস্থ যাত্রাবাড়ীর একটি ভাড়া বাসায় জিম্মি করে রাখে। সে ভিকটিম শিশু কন্যাটিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে ছবি তুলে ভিকটিম শিশু কন্যার মায়ের মোবাইলে প্রেরণ করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এর প্রেক্ষিতে ভিকটিম শিশু কন্যার মা র্যাব-১১ বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি বিশেষ গোয়েন্দা দল কর্তৃক গোয়েন্দা নজরধারীর মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে যাত্রাবাড়ী হতে অপহরণকারী মোঃ ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর তার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে হাত-পা বাধা অবস্থায় ভিকটিম শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়। উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ভিকটিম শিশু কন্যাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা এবং আটকে রেখে ৩দিন ধরে যৌন নির্যাতন করার কথা স্বীকার করে।