সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার মাত্র ২০ দিন আগেই গ্যাস লিকেজের বিষয়টি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডকে জানিয়েছিল মসজিদ কমিটির সভাপতি গফুর মেম্বারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।
তাদের অভিযোগ, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আগে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তিতাস কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে এ প্রাণহানির ঘটনা নাও ঘটতে পারতো।
৫ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন ৫১ সদস্য বিশিষ্ট মসজিদ কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ আল-আমিন ও কমিটির আরেক সদস্য দেলোয়ার হোসেন।
মাওলানা মোহাম্মদ আল-আমিন বলেন, আমরা নামাজে এলেই গ্যাসের গন্ধ পেতাম। দিন দিন এ গন্ধ বেড়েই চলেছিল, পরে মসজিদ কমিটির সভাপতি নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। মসজিদের সামনে দিয়ে গ্যাসের রাইজার ও লাইনগুলো গেছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ চাইলে একঘণ্টায় এটি সমাধান করে দিয়ে যেতে পারতো। তারা তা করেনি। তাদের সেই গাফলতিতে হয়তো আজকের এতগুলো প্রাণ হারালো তল্লাবাসী।
তিনি বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাইনি আমরা, এটি আমাদের ভুল ছিল হয়তো। আর সেটিই এখন সামনে এসেছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষে জানানো হয়েছে অনবরত গ্যাস বের হচ্ছে, তবুও তারা আসেনি। আগে বা পরেও তো এমন ঘটনা ঘটতে পারতো।
এর আগে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩৭ জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এরই মধ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি মুসল্লিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সূত্র: বাংলানিউজ