সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়ার সাথে বিতর্কিত নেতাকর্মীদের দেখে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূলের মাঝে। দীর্ঘ ১৪ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে কোনদিন সক্রিয় ছিলেন না দিপু ভূইয়া। এখনো দলের প্রয়োজনে তাকে পাশে পায়না মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অথচ বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত নেতাকর্মীদের তার সাথে দেখতে পাওয়া যায়, যেমনটা দেখা গেছে গত সোমবার ৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের তল্লা এলাকায়। মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় তার পাশে দেখা গেছে বিএনপির সাইনবোর্ডে সরকারি দলের পক্ষে কাজ করা শওকত হোসেন শকু ও গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সোনারগাঁয়ের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেয়া রমজান আলী রাজু। এসব বিতর্কিত নেতাদের দিপু ভূঁইয়ার পাশে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির তৃণমূল।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের তল্লা এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা করতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সোমবার ৭সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ এসেছিলেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা তল্লা ট্রাজেডির ঘটনাস্থলে আসেন। আসেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতা দিপু ভূইয়াও। তবে দিপু ভূঁইয়া পাশে সর্বক্ষণ দেখা গেছে কিনা এম বি এন পির বিতর্কিত নেতা শওকত হাশেম শকু ও জাতীয় পার্টি নেতা রাজু আহমেদ রমজানকে।
সূত্রে প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হোসেন শকুর রাজনৈতিক পরিচয় তিনি মহানগর বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক, কিন্তু ওই পর্যন্তই। খাতা-কলমে পদ-পদবি থাকা ছাড়া বিএনপির আর কোন কর্মকান্ড বা কর্মসূচিতে দেখা মিলে না তার। বরং বিভিন্ন সময়ে সরকারি দলের পক্ষ হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা গেছে ইতিপূর্বে। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরাসরি বিএনপির প্রতীক ধানের শীষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন শকু। এছাড়াও সারাবছর সরকারি দলের নেতাদের সাথেই তাকে বেশি দেখা যায়। বিএনপির মিটিং মিছিলে শেষ কবে অংশ নিয়েছিলেন তা হয়তো তিনি নিজেই মনে করতে পারবেন না।
সূত্র জানায়, সোনারগাঁয়ের রাজু আহমেদ রমজান গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সোনারগাঁয়ের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন, এখনো পদত্যাগ করেননি জাতীয় পার্টি থেকে। সে হিসেবে রমজান এখনো জাতীয় পার্টির নেতা।
শকু ও রমজানের মতো বিতর্কিত নেতাদের দিপু ভূঁইয়ার পাশে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সেখানে উপস্থিত বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। ক্ষোভের সঙ্গে তারা জানিয়েছেন, গত ১৪ বছর নিজে কোনোদিন রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেননি দিপু ভূঁইয়া আর এখন এসব বিতর্কিত নেতাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন। অথচ দিপু ভূঁইয়ার মত সামর্থ্যবান নেতারা যদি তৃণমূলকে পৃষ্ঠপোষকতা করতো তাহলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম আরো বেগবান হতো। তৃণমূলের ধারণা দিপু ভূইয়া এসব বিতর্কিত নেতাদের সংস্পর্শ থেকে বেরিয়ে এসে মূল ধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবেন এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করবেন।