সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলুর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযােগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় অবশেষে তিনি জামিনও পেয়েছেন বলেও জানাগেল।
২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান। এ ঘটনায় বুধবার দিনভর জামপুর ইউনিয়নের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় অলিগলি দোকানপাটে এই প্রতারণার মামলা নিয়ে নানা মুখরোচক আলোচনা।
জানাগেছে, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের ওটমা গ্রামের আওযামীলীগ নেতা আবু হোসেন চৌধুরী সাইদুল দুই স্ত্রী রেখে ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী মারা যান। পরবর্তীতে একই বছর ২৯আগষ্ট জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলু ও সাইদুল চৌধুরীর প্রথম স্ত্রী হোসনে আরা চৌধুরী ও স্থানীয় কাজী সাজ্জাত খাঁনের যোগসাজশে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক প্রাপ্ত দেখিয়ে ওয়ারিশ সনদের আবেদন করেন। ওই আবেদনের পর দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম আক্তার বিথীর নাম অন্তর্ভূক্ত না করেই ওয়ারিশ সনদ দেন চেয়ারম্যান শিপলু।
এ বিষয়টি সাইদুল চৌধুরীর দ্বিতীয় স্ত্রী বিথীর নজরে এলে তিনজনের যােগসাজশে প্রতারণা হয়েছে এ মর্মে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঘ- অঞ্চলে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত তদন্তের দায়িত্ব দেন সােনারগাঁ থানা পুলিশকে। সােনারগাঁ থানা পুলিশ তদন্ত শেষে আসামীদের যােগসাজশে প্রতারণার সত্যতা পেয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।পরে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরােয়ানা জারি করে। মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলু জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন।
আওয়ামীলীগ নেতা আবু হােসেন চৌধুরী সাইদুলের দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম আক্তার বিথীর অভিযোগ- আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলু ও সাইদুল চৌধুরীর প্রথম স্ত্রী হোসনে আরা চৌধুরী ও কাজী সাজ্জাত খাঁন যােগসাজশ করে অন্য একটি তালাকের বলিয়মের মাধ্যমে তালাক প্রাপ্ত দেখিয়ে ওয়ারিশ সনদে আমাকে বাদ রেখে ওয়ারিশ সনদ ইস্যু করেন। এ ঘটনায় আমি তিনজনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন-এ ব্যাপারে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক প্রাপ্ত দেখিয়ে আমার কাছে ওয়ারিশ সনদের আবেদন করলে আমি তালাক নামা দেখে ওয়ারিশ সাটিফিকেট দেই। এখানে প্রতারণার কোন সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আদালত আমার কাছে জানতে চেয়েছে আমি আমার উকিলের মাধ্যমে জবাব দিয়েছি।