সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বন্দরে ছাত্রলীগ নেতা খান মাসুদ বাহিনীর সন্ত্রাসী রাজু নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় কাউন্সিলর সাইফ উদ্দীন মাহামুদ দুলাল প্রধানের ইন্দ্রজিৎ সাহা গুরুত্বর জখমের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে আহত ইন্দ্রজিৎ সাহা মনা বাদী হয়ে সন্ত্রাসী রাজুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৮/৯ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলো- বন্দর থানার নূরবাগ এলাকার নুরুল ইসলাম ওরফে পাতলা মিয়ার ছেলে রাজু, বালুচর এলাকার শাহআলম মিয়ার ছেলে আকিব হোসেন রাজু, বন্দর খানবাড়ী এলাকার দিলিপ খানের ছেলে সায়মন খান, হাজীপুর এলাকার মোঃ হোসেন মিয়ার ছেলে পাভেল, বন্দর রাজবাড়ী বালুর মাঠ এলাকার রাজিব ও বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার পাগলা শাহিন, সানী, রাসেল, লোকনাথ, পিয়েল ও মাজহার।
অভিযোগে জানা গেছে, বন্দর থানার আমিন আবাসিক এলাকার মৃত বিজয় গোপাল সাহা ছেলে ইদ্রজিৎ সাহা ওরফে মনা গত ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোর্রেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের অফিসে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে আমিন আবাসিক এলাকায় তার নিজ বাড়িতে ফিরছিল।
ইদ্রিজিৎ সাহা মনা আমিন আবাসিক এলাকাস্থ ছায়ানূর হাসপাতালের সামনে আসলে ওই সময় উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী রাজুর নেতেৃত্বে কিশোর গ্যাং এর সদস্য আকিব হোসেন রাজু, সয়মান খান, পাভেল, পাগলা শাহিনসহ অজ্ঞাত ১৫/২০জনের একটি কিশোর বাহিনী লাঠী সোটা নিয়ে তার উপর হামলা করে। ওই সময় হামলাকারীরা ইদ্রজিৎকে বেদমভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে একটি ১০ আনা ওজনের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে আহতের ডাকচিৎকার শুনে এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় হামলাকারীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে আহতকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানায়, বন্দরে কাউন্সিল দুলাল প্রধানের বন্ধু আহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এজাহারভূক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বন্দরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কাউকে করতে দেওয়া হবেনা। সন্ত্রাসী বা কিশোর অপরাধী যেই হোক অব্যশই তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বন্দরে ডিশ ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের সাথে ডিশ ব্যবসায়ী শ্যামলের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত ৬ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগ নেতা খান মাসুদের সমর্থকরা ডিশ ব্যবসায়ী শ্যামলের পক্ষ নিয়ে কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় খান মাসুদের লোকজন দুলাল প্রধানের ড্রেজারে অগ্নিসংযোগ করে। এ নিয়ে উভয় শিবিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। কাউন্সিলর দুলাল প্রধান ও ছাত্রলীগ খান মাসুদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বেশ কিছু পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান ও ৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপে গত ৭ সেপ্টেম্বর বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ রশীদ উভয় পক্ষকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি আপোষ মীমাংশা করে দেয়। আপোষ মীমাংশার ১৪ দিন পর গত ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় ওই ঘটনার জের ধরে খান মাসুদের পালিত সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং এর মূলহোতা রাজু নেতেৃত্ব সংখ্যালঘু ইদ্রিজিৎ সাহা উপর পুনরায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে।