সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতি এখন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নিয়ন্ত্রণে। মহানগর বিএনপির একাংশের নেতৃত্বে আবুল কালাম অপর অংশের নেতৃত্বে সাখাওয়াত হোসেন খান। আবুল কালাম মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে বহাল থাকলেও রাজপথে তার সক্রিয়তা কম। যে সুযোগে রাজপথ মোটামুটি দখলে নিয়েছেন সাখাওয়াত। দুজনের মধ্যে মহানগর বিএনপির নেতৃত্বের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা রয়েছে। দীর্ঘদিন একসাথে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে দেখা না গেলেও এবার আদালতপাড়ায় তাদের দুজনকে একসাথে দেখা গেল।
জানাগেছে, ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কোর্টে নাশকতার বেশকটি মামলায় হাজিরা দিয়েছেন মহানগর বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এই দুই নেতা সহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এদিনে হাজিরা শেষে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে আদালতপাড়ায় ফটোসেশন করেন আবুল কালাম ও সাখাওয়াত হোসেন খান।
এখানে উল্লেখ্যযে, এক সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তখন মহানগরী ছিল না। শহর কমিটি থাকায় শহর কেন্দ্রীক রাজনীতির একাংশের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। মহানগরী হওয়ার পর তিনি এখন রূপগঞ্জ কেন্দ্রীক রাজনীতি করেন। যে কারনে মহানগর বিএনপি দুটি ভাগে বিভক্ত যে দুটি ভাগের নেতৃত্বে আবুল কালাম ও সাখাওয়াত হোসেন খান।
তৈমূর আলম খন্দকারের মহানগরীর নেতাকর্মীরা দুভাগে কালাম ও সাখাওয়াতের নেতৃত্বে রাজনীতি করছেন। আবুল কালামকে তার চেম্বারে সংক্ষিপ্ত পরিসরে কর্মসূচিতে মাঝে সাজে দেখা গেলেও মহানগরীর রাজনীতিতে সাখাওয়াত বৃহত পরিসরে রাজপথে সক্রিয় ভুমিকা রাখছেন। যে কারনে তাদের দুজনের মাঝে মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধিতা রয়েছে। কেউ কেউ জানিয়েছেন- আবুুল কালামের নিষ্ক্রিয় ভুমিকায় আগামীতে হয়তো সাখাওয়াত হোসেন খানকেই মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে রাখা হতে পারে।
তবে রবিবার আদালতপাড়ায় তাদের মধ্যে সোহার্দ্যপূর্ণ আচরণই দেখা যায়। ওই সময় সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমের এই প্রতিবেদক প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাজিরা শেষে সকলের সঙ্গে হাসিমুখেই কথা বলেন এবং হাজিরা শেষে আদালতপাড়া ত্যাগ করার পূর্বে সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে আবুল কালাম ও সাখাওয়াত হোসেন খান ফটোসেশন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, মহানগর বিএনপির অঙ্গ সংগঠন মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা, যুবদল নেতা সরকার আলম, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিউদ্দীন আহমেদ রিয়াদ সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।