সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেফাতুল ইসলাম আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে ৩৫ জনকে এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।
আসামিদের মধ্যে ভাটিবন্দর গ্রামের আফজাল হােসেন, ভবনাথপুর গ্রামের আল আমিন ও পূর্ব কান্দারগাঁও গ্রামের আমির হােসেনকে নতুন করে আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করে তাঁদের পলাতক দেখিয়ে এই তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
জানাগেছে, ২০১৮ সালের ৬ জানুয়ারি সোনারগাঁ থানায় মামলাটি হওয়ার পর চারজনের তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলার তদন্ত করেন। মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মোশারফ হোসেন ছাড়া অন্য যেসব আসামির বিরুদ্ধে অভিযােগপত্র দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলো- ভবনাথপুর গ্রামের ফয়সাল মিয়া ও সবুজ মিয়া, জৈনপুর গ্রামের নােয়াব প্রধান ও খােকন মিয়া এবং সােনারগাঁ পৌর গােয়ালদি গ্রামের শাহীন মিয়া, কান্দারগাঁও গ্রামের শামীম মিয়া, দিপু মিয়া, শান্ত হােসেন, কবির হােসেন, আবু সাইদ, হাবিব মিয়া, লিটন মিয়া, আবু কায়েস শহীদুল্লাহ, জসিম উদ্দিন, আবদুল হামিদ, মাসুদ মিয়া, পারভেজ হােসেন, তারেক মিয়া, মাে . মাসুম, হাবুল মিয়া, ছলু মিয়া, জসিম উদ্দিন, সেলিম মিয়া, পনির হােসেন, বাহাউল হক, বাবুল হােসেন, ইয়াছিন মিয়া, সােহেল হােসেন, আনসার আলী ও জামাল উদ্দিন।
মামলার অভিযােগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সেফাতুল ইসলাম উল্লেখ করেন, স্থানীয় একটি শিল্পকারখানার বালু ভরাটের কাজ শুরু হলে আসামিরা ওই কারখানা কর্তৃপক্ষের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের জমি ক্রয় না করেই জোরপূর্বক দখল শুরু করেন। এ সময় কৃষকদের পক্ষ নিয়ে আসামিদের বিপক্ষে আন্দোলন শুরু করার কারণে আসামিরা একত্র হয়ে মােহাম্মদ আলী নামের এক যুবককে ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এলােপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন। মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য মােশারফ হােসেন ও আরেক আসামি বাহাউল হক ইতিমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারােক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী নিহত মােহাম্মদ আলীর মা শিউলি বেগম বলেন, আশা করি আদালতের মাধ্যমে আমরা ন্যায়বিচার পাব। অভিযােগপত্রে নাম আসা সব আসামির আমি ফাঁসি চাই।