সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
সিলেট এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণ, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে নারী নির্যাতনসহ সারাদেশে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে সিদ্ধিরগঞ্জে থানা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এই কর্মসূচিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করে যোগদান করেছেন মহানগর যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।
৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল ডাচবাংলা পয়েন্টে এ মানববন্দন কর্মসূচি পালিত হয়।
যুবদলের এই শোডাউনে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সদস্য শাহজালাল কালু, থানা যুবদল নেতা রাসেল সরকার, মোঃ হারুন, মোঃ শরিফ, সবুজ, সোহেল, ফারুক, সেলিম, জিয়াউর রহমান, মিলন, বিপ্লব, মোঃ আলী, তপন সহ শতাধিক নেতাকর্মী।
সিদ্ধিরগঞ্জে থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হাই রাজু।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বেগমগঞ্জের সিরিয়াল রেপিস্ট দেলোয়ার ওই আসনের এমপিকে নৈশ ভোটে সিল মেরে এমপি বানিয়েছিল। এখন ওদের আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা সে। ঘটনার ৩২ দিন পর মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর গ্রেপ্তারে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিণী।
সেখানকার পুলিশ এর আগে ঘটনা জানত না-এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সারাদেশে ছাত্রলীগ,যুবলীগ মিলে ধর্ষণের রাজত্ব কায়েম করেছে। সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে ৫ ঘন্টা ধরে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে। ওই সময়ের মধ্যে পুলিশ সেখানে যায় নাই।
এসব ঘটনার পর শেখ হাসিনার যদি লজ্জা থাকত তাহলে তিনি পদত্যাগ করতেন। সারাদেশে ওনার এসব বাহিণী লুটপাট করে মোটা-তাজা হয়ে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। এখন তারা সিরিয়াল র্যাপে মত্ত হয়েছে।
অবিলম্বে ছাত্রলীগ, যুবলীগের মত সংগঠনকে বাতিল করার দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ আর লুটপাটের দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। দ্রুত সারাদেশের এসব সংঘটিত অপরাধে জড়িতদের বিচারের দাবি জানানো হয় মানবন্দন থেকে।