সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সেখানে বিএনপির প্রার্থীতা বাছাই নিয়েও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর ও সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এখনও নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেনি। এরি মাঝে মান্নান অনুগামীরা একজন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর ছবি ও মান্নানের ছবি দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। এদিকে এবারও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন গত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে, উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর ও সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত রাজনৈতিক বিরোধ বিভক্তি কোন্দল রয়েছে। এখানে দুটি বলয়ে বিভক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। একদিকে জাফর অন্যদিকে মান্নান। কিন্তু বিএনপি পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে জাফর চাচ্ছেন তার বলয়ের মোশারফ হোসেনকে এবারও প্রার্থী করতে। কিন্তু তার আগেই মান্নানের লোকজন লায়ন শফিকুল ইসলাম নয়ন নামের একজনকে মাতামাতি শুরু করেছেন।
লায়ন শফিকুল ইসলাম নয়ন গত এক যুগেও রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে তার কোন অংশগ্রহণ দেখা যায়নি। উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রাম তো দুরের কথা বিএনপির কোন কর্মকান্ডেই তার কোন অংশগ্রহণ চোখে পড়েনি। কিন্তু জাফরের বলয়ের মোশারফ হোসেনের প্রার্থীতা ঠেকাতে পৌর এলাকায় মান্নান অনুগামী এমন কোন নেতা নেই যাকে পৌর নির্বাচনে দাঁড় করাবেন। যার ফলে নয়নকে নিয়ে নেমেছেন মান্নান। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি খন্দকার আবু জাফর।
এদিকে এখানে আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশি ও প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় নামলেও বিএনপির কাউকে একটি গণসংযোগেও দেখা যায়নি। আলোচনার মাঝেই বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা। পৌর নির্বাচন নিয়ে ৯ অক্টোবর শুক্রবারও মান্নানের বাড়িতে নয়নকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মুুলত নয়নকে ড্যামী প্রার্থী করে এখানে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের স্বপ্ন দেখছেন মান্নান। কিন্তু খন্দকার আবু জাফর দেখছেন এখানে নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থী লড়াইয়ে থাকলে মোশারফকে নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকও সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন মান্নান।